বৃষ্টির জোর বেড়েছে। প্রায় দেশজুড়ে বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে আরও অন্তত দু’দিন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমী লঘুচাপ এবং বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার ফলে শ্রাবণের স্বাভাবিক এ বর্ষণ। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড স›দ্বীপে ১১৭ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৩৬, চট্টগ্রামে ৬৪, ময়মনসিংহে ৬৫, রাজশাহীতে ৭, খুলনায় ৪২, বরিশালে ৪৯, সিলেটে ২ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগে তেমন বৃষ্টি ঝরেনি।

আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাস মতে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাত হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গতকাল একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বাংলাদেশের ওপর বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা জোরালো অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে গতকাল বিকেল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মি.মি.) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের ঊর্ধ্বে) বৃষ্টিপাত হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে।