পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এডিস মশাকে রোহিঙ্গাদের সাথে তুলনা করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আয়োজিত এক সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, ‘এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ডেঙ্গু হঠাৎ করেই বেশি হওয়ার কারণ এডিস মশা বেশি বেড়ে গেছে।’
মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়। ফেসুবকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্যাটাস দিয়েছেন অনেকে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে অমার্জিত মন্তব্যে রীতিমতো ট্রলের শিকার হলেন তিনি।
সুমন আহমেদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘হাস্যকর মন্তব্য। যার যে দায়িত্ব তা ঠিকমতো পালন করতে পারছেন না। কেউ বলছেন গুজব, কেউ বলছেন আমার দায়িত্ব না, কেউ তুলনা করছেন মানুষের সাথে। তবে কি মানুষ মারতেও বিষ ব্যবহার করা হচ্ছে। আসলে আমাদের রাষ্ট্রে দায়িত্ববান মানুষের অভাব।’’
পারভেজ তালুকদার লিখেছেন, ‘‘মুসলিম রোহিঙ্গারা এই দেশে নির্যাতিত হয়ে এসেছে তাই তাদেরকে নিয়ে উপহাস করার কোন মানে হয় না, একজন দায়িত্ববান মন্ত্রীর কাছ থেকে এমন কথা আশা করা যায় না। মশার কাছে আমরা অসহায় এটার জন্য লজ্জিত হওয়া দরকার।’’
‘‘আমাদের দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ পদে মূখ্যরা বসে আছে। এদের কথায় প্রকাশ পায় এরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মূখ্য। আমাদের দেশে মশা মারতে ও হাইকোর্টে রিট করতে হয়। এতো সময় নষ্ট না করে সিটি কর্পোরেশন আগে যে মশার ওষুধ ব্যবহার করতো তা পরিবর্তন করলে অনেকটাই সমস্যা সমাধান হতো’’ লিখেছেন শিমুল হাসান।
ফেসবুক ব্যবহারকারী মো. হেলাল উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘মন্ত্রী একটি ব্যক্তিকে বুঝায় না একটি প্রতিষ্ঠান। এ পদে থেকে সতর্কতার সহিত কথা বলতে হবে।আমাদের দেশের মন্ত্রীরা কি আজেবাজে বেফাশ মন্তব্য করেন। আসলেই মাথা আছে মগজ নাই, নাকি মগজ আছে মাথা নাই।কথা বলতে হবে দায়িত্ব নিয়ে কারন আপনি দায়িত্বশীল পদে আছেন।’’
মন্ত্রীর সমালোচনা করে সাইফুদ্দিন আহমেদ লিখেছেন, ‘‘অকার্যকর ওষুধ আমদানি করায় মশা মরছে না। মশাদের প্রজনন ক্ষমতা আগের মতোই আছে। শুধু প্রয়োজন অযোগ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দ্রুত অপসারণ।’’
মো. আবু বকর সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, আবার সেটা নিয়ে কথা বলেন! বংশ বৃদ্ধি সবাই করতে পারে, প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণ। রোহিঙ্গারাও মানুষ, মশা জাতীয় কোনো প্রতঙ্গ নয়। মানুষকে মশার সাথে তুলনা করা মুর্খদের সাজে।রোহিঙ্গা আসতে দিয়েছেন এখন মর্যদার সাথে তাদের ফেরত পাঠান।’’
‘‘মন্ত্রী হয়ে যদি শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের সাথে কীট পতঙ্গের প্রজনন নিয়ে তুলনা করে, নিজে মজা নিয়ে জাতীকে মজা দিতে গিয়ে প্রকারান্তরে নিজের মানসিক বিকারগ্রস্থতার প্রমান দিল। বৃক্ষ তোমার নাম কি, কথায় পরিচয়’’ ক্ষোভের সাথে লিখেছেন ফজলে এলাহি মুকুল।
মন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে সালেহ আলম লিখেছেন, ‘‘মন্ত্রী হয়ে এধরণের বক্তব্য তাঁর হীনমন্যতারই পরিচয় দেয়, রুচিহীনতা ও অমানবিকতার পরিচয় দেয়,মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’’
‘‘ইতিহাসের নির্মম নির্যাতনের শিকার মানুষগুলোকে নিয়ে অথর্ব,অযোগ্য মন্ত্রীর কি আজব মন্তব্য!’’ লিখেছেন মহসীন আরাফাত।
জুয়েল রানা লিখেছেন, ‘‘রোহিঙ্গা একটি জাতির নাম। যারা মুসলিম ধর্মাবলম্বী, বৌদ্ধদের দ্বারা নির্যাতিত ও নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত। ঘাতক মশার সাথে এই জনগোষ্ঠীর তুলনা করাটা সমীচীন মনে করি না।’’
আদেল আহাম্মেদ বাপ্পি লিখেছেন, ‘‘একজন মানুষ হয়ে অন্য মানুষদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করার অধিকার কে দিয়েছে ওনাকে।রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষ মূলক বক্তব্য ওনার ঠিক হয় নাই।কারন আল্লাহর সৃষ্টিতে সকল মানুষ সমান। আমাদের যেমন মানুষ হিসেবে বেচে থাকার অধিকার আছে তেমনি রোহিঙ্গাদেরও আছে।’’
‘‘একজন মন্ত্রী রাষ্ট্রের দায়িত্বে থেকে কি ভাবে একটা জাতী গোষ্ঠী নিয়ে মশকারি করতে পারে... নিজের দায়িত্ব ভূলে গিয়ে ছেলেমানুষী কথা বার্তা নিজের পাপ ডেকে রাখার অপকৌশল মাত্র’’ মন্তব্য আবিদ রহমানের।
মোহাম্মাদ ইসমাইল খান লিখেছেন, ‘‘একদা আমাদের পূর্ব পুরুষ দের প্রজনন ক্ষমতা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মতই ছিল। তারপর আমাদের মাঝে শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে বিধায় আমরা বুঝতে শিখেছি যে প্রজনন ক্ষমতা থাকলেই জন্ম দিতে হয়না, জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।’’
মো. ইউসুফ লিখেছেন, ‘‘আপনার মন্ত্রীসভার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ই কিন্তু রোহিঙ্গাদের এদেশে ঠাই দিয়েছেন। মশার সাথে মানুষের তুলনা করে নিজের মন মানসিকতার পরিচয় দিলেন মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী! সভ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে!’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।