Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শূকরের বর্জ্য আমদানি ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাস্টমসের মামলা

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম


মুরগি ও মাছের খাবারের নামে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর শূকরের বর্জ্য আমদানির সাথে জড়িত তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। একইসাথে আমদানিকারক তিনটি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আকবর হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তিন আমদানিকারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

নোটিশের জবাবের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আরও যেসব চালান রয়েছে সেসব চালানের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এবং আমদানি নিষিদ্ধ এসব পণ্য যারা আমদানি করেছে তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

তিনটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের শূকরের বর্জ্য মিশ্রিত ৮৫ টিইইউ’স ফিশ ফিড আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এরমধ্যে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আয়েশা করপোরেশনের ৪০ ফুট দীর্ঘ ২৫ কন্টেইনার (৫০ টিইইউ’স), মানিকগঞ্জের স্পেক্ট্রা ফিডস লিমিটেডের ২০ ফুট দীর্ঘ (টিইইউ’স) ১০ কনটেইনার ও ঢাকার মগবাজারের প্রমিক অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফিড প্রডাক্টস লিমিটেডের ২৫ কন্টেইনার ফিশ ফিড রয়েছে। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া থেকে তিন প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৪০৯ টন পণ্য এসেছে।

এর মধ্যে কিছু কনটেইনার খালাসও নিয়েছে আমদানিকারকেরা। কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে এসব পণ্য বাজারজাত ও হস্তান্তর বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হলেও এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে কেউ কিছু জানাতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে, আমদানি নিষিদ্ধ ক্ষতিকারক এসব ফিশ ফিড ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।

কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, দেশে ‘মিট অ্যান্ড বোন মিল’ আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ভিন্ন নামে ফিশ মিল বা ফিশ ফিড বলে আমদানির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। গোপন সংবাদে এমন তথ্য পেয়ে বেশ কয়েকটি চালান আটক করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। পরে ওই তিনটি চালানের নমুনা দেশের তিনটি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে সেখানে মিট অ্যান্ড বোন মিলের অস্তিত্ব পায়। এসব মাছ ও মুরগির খাবার শূকরসহ গবাদিপশুর বর্জ্য দিয়ে তৈরি।

কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের পণ্য আমদানি দ্য ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স কনট্রোল অ্যাক্ট ১৯৫০ ও আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ এর অনুচ্ছেদ-১৭, পরিশিষ্ট-১ এর খ অংশের বিধান লংঘন, মিট অ্যান্ড বোন মিলকে ফিশ মিড ঘোষণা দেওয়ায় দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ৩২ ধারা এবং মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন (সংশোধন) আইন ২০১৫ লংঘন। এ ছাড়া এক পণ্যের স্থলে অন্য পণ্য আমদানি করা দ্য স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী চোরাচালান হিসেবে শাস্তিযোগ্য।



 

Show all comments
  • Jiboner Oddhay ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৫ এএম says : 0
    আমরা নিচে আর কত নামবো।
    Total Reply(0) Reply
  • শফিক রহমান ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৫ এএম says : 0
    তাই ত বলি পল্টি মুরগীর এত চর্বি আর চাষের মাছ এত স্বাদ কেন
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Ahmed ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৫ এএম says : 0
    আমি লোভি মানুষের ফাঁসি চাই
    Total Reply(0) Reply
  • ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৭ এএম says : 0
    খাদ্যসহ ব্যবহার্য সব সামগ্রীতে হালাল-হারাম যাচাই করে কর্তব্য ঠিক করা মুসলমান মাত্রেরই দায়িত্ব। অনেক সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শুধু অজ্ঞতার কারণে আমরা হারাম দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকি। অথচ এ বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা লাভ করা এবং এসব থেকে বিরত থাকা আমাদের জন্য জরুরি।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ জামান হোসেন ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৮ এএম says : 0
    পবিত্র কুরআনে শূকরের গোশত হারাম হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম কুরতুবির উদ্ধৃতি দিয়ে আল¬ামা মুফতি শফি রহ. বলেন, এর দ্বারা শুধু গোশত হারাম একথা বোঝানো উদ্দেশ্য নয়, বরং শূকরের সমগ্র অংশ তথা হাড়, গোশত, চামড়া, চর্বি, রগ, পশম, প্রভৃতি সবকিছুই সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
    Total Reply(0) Reply
  • মেরাজ ২৬ জুলাই, ২০১৯, ৩:৫৮ এএম says : 0
    কর্তৃপক্ষকে এই হারাম বস্তুর বিরুদেধ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ