পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলতি বছরেই হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে অর্থাৎ ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের চিন্তাভাবনা করছে। গত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশনের ৪৭তম বৈঠকে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে শতভাগ ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে তিন সিটি কর্পোরেশনে একই দিন ভোটগ্রহণের বিষয়ে কমিশন প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তবে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার জটিলতায় এবার ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ইসি একই দিনে করতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন হতে পারে আগামী বছর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের একাধিক স‚ত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঘোষিত ‘মুজিববর্ষ’ পালনের সুবিধার্থে আগেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ থেকে শুরু করে পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে। এ কারণে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করে সরকার। তবে ওই সময়ের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপযোগী হলেও মেয়াদ শেষ না হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এ সময়ে নির্বাচনের জন্য বিবেচনায় আসছে না। যে কারণে এ বছর ডিসেম্বরে ঢাকার দুই সিটি ও আগামী বছর মার্চে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। যদিও শুরুতে নির্বাচন কমিশন তিন সিটির নির্বাচন একসঙ্গেই করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৫ সালে এই তিন সিটিতে একই দিন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছিরের দায়িত্ব গ্রহণে বিলম্ব হয়েছিল। যে কারণে সিটির প্রথম বৈঠকও দেরিতে হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম বৈঠক হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৪ মে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বৈঠক ১৭ মে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে, এর প্রায় তিন মাস পর ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম বৈঠক। সেই হিসেবে এ বছর ১৭ নভেম্বর ঢাকা উত্তর ও ২০ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ এবং আগামী বছর ৯ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সময়োপযোগী হবে।
সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী একশ’ আশি দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। আর আইন অনুযায়ী কর্পোরেশনের প্রথম বৈঠক থেকে এর মেয়াদ গণনা শুরু হয়। সব মিলিয়ে কমিশন চাইলে এ বছর ২০ নভেম্বর বা তারপরে তফসিল ঘোষণা করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার দুই সিটির ভোট সম্পন্ন করতে পারবে। অবশ্য ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করতে না পারলে সেক্ষেত্রে জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি বাদ দিয়ে মার্চে যেতে হবে। কারণ, জানুয়ারির ১ তারিখে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, যা চ‚ড়ান্ত হবে ৩১ জানুয়ারি। ফলে এ সময়ে ভোট করতে গেলে নতুন ভোটারদের ভোট দেয়া না দেয়ার প্রশ্নে আইনি জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে ফেব্রæয়ারিতে রয়েছে এসএসসি পরীক্ষা।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, আগের বার একই দিনে ভোট হলেও মেয়াদের পার্থক্য বিবেচনায় এবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন আলাদাভাবেও করতে পারে। সেক্ষেত্রে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরে হতে পারে। আর চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন মার্চে কিংবা ঈদের পর জুলাইতে হতে পারে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি। সিটি কর্পোরেশনগুলোর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেবো। আইনে বলা আছে, সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঢাকা বা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি আসেনি। কমিশনেও নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আইনে যে বিধান রয়েছে, সে অনুযায়ী হবে। আশা করছি নির্বাচন উপযোগী হলে চিঠি আসবে। সে অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।