Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৬৬৯ কার্টন খুলে কায়িক পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা মদভর্তি জাহাজ থেকে মালামাল শেডে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জাহাজটি বন্দর ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই জাহাজ এবং জাহাজ থেকে খালাস করা মাস্টার কার্টুনসহ আটক তিনটি বার্জ বন্দরের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আকবর হোসেন জানান, মিথ্যা ঘোষণায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির আড়ালে মদ-বিয়ারসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে আসায় জাহাজটি যাতে বন্দর ত্যাগ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম বন্দরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

জাহাজ থেকে খালাস করা মাস্টার কার্টুনভর্তি আটক তিনটি বার্জও বন্দরের হেফাজতে রাখতে বলা হয়েছে। আমদানিকৃত ৬৬৯টি কার্টুন বন্দরের শেডে নামিয়ে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হবে। এজন্য বন্দরকে বার্জ ও জাহাজে থাকা সব কার্টুন নামিয়ে একটি শেডে রাখতেও বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক কাস্টম কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কাস্টমের চিঠির ভিত্তিতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। জাহাজ ও কার্টুনভর্তি তিনটি বার্জ বন্দরের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকায় নির্মাণাধীন চায়না-বাংলাদেশ পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের যন্ত্রপাতি আমদানির নামে জাহাজভর্তি মদ-বিয়ার নিয়ে আসা হয়। চীনের সাংহাই থেকে আসা এমভি কিউ জি শান নামের জাহাজ থেকে এসব মাদকভর্তি মাস্টার কার্টুন খালাসের পর্যায়ে ধরা পড়লে কাস্টম কর্তৃপক্ষ তিনটি বার্জ জব্দ করে এবং জাহাজটি বন্দর ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বন্দরকে অনুরোধ করে। বুধবার কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম জানিয়েছেন, জাহাজটিতে কি পরিমাণ মাদক এসেছে তা নিশ্চিত হতে ৬৬৯টি মাস্টার কার্টুন খুলে পরীক্ষা করা হবে। এ কাজ করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের নামে আমদানিকৃত চালানটি খালাসের দায়িত্ব পালনকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স বিপাশা ইন্টারন্যাশনাল এবং বার্জ পরিবহনের দায়িত্বে থাকা এএমএম লজিস্টিকের মালিক শফিকুল আলম জুয়েল। জাহাজটির লোকাল এজেন্ট রয়েল শিপিং লাইন্স নামের একটি কোম্পানি। আটটি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ৬৬৯ মাস্টার কার্টুন মেশিনারিজ আমদানির ঘোষণা ছিল ওই প্রতিষ্ঠানটির। জাহাজটি গত ৯ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে আসে এবং ১৮ জুলাই বন্দরের তিন নম্বর জেটিতে বার্থিং নেয়। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের তিন নম্বর জেটিতে জাহাজ থেকে বার্জে খালাসের সময় মিথ্যা ঘোষণার বিষয়টি ধরা পড়ে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ