পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লন্ডনে অবস্থানকালে গুজব ও ডেঙ্গুর বিস্তার এবং দেশের বন্যা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে।
গুজব ও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একত্র করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গতকাল বুধবার বিকেলে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরকে নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সমন্বয় সভা হয়। এতে গুজব ও ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার পাশাপাশি দেশব্যাপী চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সমন্বয় সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সভায় গুজব, ডেঙ্গু এবং বন্যা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগ এবং সিটি করপোরেশনগুলো এ সম্পর্কে নিজস্ব পরিকল্পনা-প্রস্তুতি ও পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
পিএমও এ সময় ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাদের মশক নিধন অভিযানকে জোরদার করার আহ্বান জানায়। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর প্রতি বিশেষ নজর প্রদানে প্রতিটি হাসপাতালে বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠনের নির্দেশনা প্রদান করে। বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ‘সচেতনতা সপ্তাহ’ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। যার মধ্যে রয়েছে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং এবং গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো।
পিএমও সব সরকারি দপ্তরগুলোকে নিজস্ব অফিস এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধের আহ্বান জানায়। জনগণের বাড়িঘর এবং আশপাশের এলাকা বিশেষ করে কোনো পাত্রে বা ফুলের টবে জমে থাকা পানি, এয়ার কন্ডিশনার এবং রেফ্রিজারেটর থেকে নির্গত স্বচ্ছ পানি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ওই স্থান শুষ্ক রাখার জন্যও সভায় আহ্বান জানানো হয়।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ‘মানুষের মাথা লাগবে’—এমন গুজব যারা ছড়াচ্ছে, সেই স্বার্থান্বেষী মহলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রামপ্রধান), শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ত করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। জনগণকে এ সময় যেকোনো ধরনের গুজব সম্পর্কে সজাগ করে তুলতে গণমাধ্যম বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
দেশের চলমান বন্যা সম্পর্কে বৈঠকে প্রকৃত দুর্গতদের মাঝে যথাসময়ে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী যেমন—চাল, বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো এবং রান্নাকরা খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
দুর্গত এলাকায় যাতে রোগ-জীবাণু না ছড়িয়ে পড়তে পারে সে জন্য জন্য মেডিক্যাল টিম গঠন এবং বন্যার পানি নেমে গেলে দ্রুত পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়। বন্যা দুর্গত এলাকায় এ সময় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৈঠককে অবহিত করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ)। নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।
সূত্র: বাসস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।