Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নদী সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’ প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

৫২ কিলোমিটার নদী তীরে ওয়ালসহ অবকাঠামো নির্মাণ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) কর্তৃক গৃহিত নদী তীরে চলমান উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে টাস্কফোর্স কমিটি। একই সঙ্গে উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত রাখারও আহবান জাানিয়েছে কমিটি।
গতকাল বুধবার নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, সুপারিশ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য গঠিত ‘টাস্কফোর্স’ এর প্রথম সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও টাস্কফোর্স এর সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,
অতীতে কোন সময় নদী তীরে এরকম উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার নির্দেশে নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে টাস্কফোর্স কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে। উচ্ছেদ কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা করার জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। সভায় জানানো হয় ,বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ১০,৮২০টি সীমানা পিলার, বনায়ন, তিনটি ইকোপার্ক, ছয়টি পন্টুন, ৪০ কিলোমিটার কি-ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০ টি স্পার্ড ও ৪০৯টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে যা ২০২২ সনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫,২৩৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকার চারপাশে নদীর তীরভূমির প্রায় ১৪৫.১ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় নিলামের মাধ্যমে ৮,৬৪,৩৮,৪০০ টাকা এবং জরিমানার মাধ্যমে ২৭,০৬,০০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) কর্তৃক ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নদীর তীরের সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ৯,৫৭৭ টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩,৮৫৫ টি পিলার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিতর্কিত ২,১১৪ টি পিলারের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
বিআইডবিøউটিএ নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৬১২.২২ একর জমি উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ঢাকার চারপাশে ৩৭৮.৬২ একর এবং নারায়ণগঞ্জে ২৩৩.৬০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ১৫,৫৯২ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১২,৪৭৮ টি এবং নারায়ণগঞ্জে ৩,১১৪টি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সারা দেশের অভ্যন্তরীণ নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমানে সাতটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের নদী খনন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। খাগদোন, বিষখালী, কীর্তনখোলা, যাদুকাটা, রক্তি, রকশোনালা, কর্ণপাড়াখাল, লোহালিয়া, মনু, পিয়ান, আড়িয়াল খাঁ, ইছামতি, তালতলাখাল, পালং, নড়িয়াখাল, পুরাতন দুবালদিয়া, শীতলক্ষ্যা, কালিগঙ্গা, শৈদাহ, গাঘর, মধুমতি, কাচিকাটাখাল, পাড়কোনা, তুরাগ, কুমার,ধলেশ্বরী, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, তিতাস নদী, কংস, বাউলাই, সুরমা, মগড়া, পাগলা, বুড়ি, ভোগাই-কংস, নতুন ডাকাতিয়া, বাঁকখালী, ভৈরব, আত্রাই, ভোলা, পালরদি, কর্ণতলী, পদ্মা, মেঘনা, গাবখানখাল, কর্ণফুলীনদীর চ্যানেল, পশুরনদীর চ্যানেল, কাজল- তেতুলিয়া নদীতে খনন কাজ চলমান রয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো.শাহাব উদ্দিন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ