Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মামলা পিবিআইতে হস্তান্তর দাবি মিন্নির বাবার

রিফাত হত্যা মামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সংবাদ সম্মেলন করে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে রিফাত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গতকাল দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, হত্যাকান্ডের আগে রিফাতের সঙ্গে বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সামসুন্নাহার খুকির বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার বিষয়টি সামসুন্নার খুকি তার বোনের দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর কাছে নালিশ করেন। যেদিন হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়, সেদিন রিফাত ও রিশান ফরাজী বলেছিল, তুই আমার মাকে গালাগাল করেছিস। আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বল।
রিফাত ও রিশান ফরাজী সামসুন্নাহার খুকিকে মা বলে ডাকতেন জানিয়ে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমার ধারণা বাকবিতন্ডার প্রতিশোধ নিতেই রিফাত ও রিশান ফরাজী রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে ও হত্যাকান্ডের অগ্রভাগে থাকে। সামসুন্নাহার খুকির সঙ্গে রিফাত শরীফের বাকবিতন্ডার বিষয়টি রিফাত শরীফ ও মিন্নি তাকে জানিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
মিন্নিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে এমন অভিযোগ করে মিন্নির বাবা বলেন, প্রভাবশালী মহলকে বাঁচাতে পুলিশ আমার মেয়ে মিন্নিকে ফাঁসাচ্ছে। তাই এ মামলার তদন্ত পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন জানান তিনি।
এদিকে, গতকাল দুপুরে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে জেলহাজতে দেখা করেছেন তার আইনজীবী মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এ মামলার অপর আইনজীবী সাইফুর রহমান সোহাগ। বরগুনা জেলা কারাগারে মিন্নির সঙ্গে তারা ১০ মিনিটের মতো কথা বলেছেন বলে জানান আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম।
কারাগার থেকে বের হয়ে মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, মিন্নির খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি কিছু আইনি পরামর্শ দেয়ার জন্য তার সঙ্গে দেখা করতে জেলা কারাগারে যাই। মিন্নির পুরো শরীরে ব্যথা আছে। মিন্নি রাতে ঘুমাতে পারে না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সে। মিন্নি রিফাত হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে যে জবানবন্দি দিয়েছে তা পুলিশ শিখিয়ে দিয়েছে। সেই জবানবন্দি মিন্নি প্রত্যাহার করতে চাচ্ছে। তাই আমি মিন্নিকে এই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনের প্রক্রিয়া শিখিয়ে দিয়েছি।
আইনজীবী আরও বলেন, মিন্নির পড়াশোনার বিষয়ে আবেদন করা হলে জেলার আবেদন মঞ্জুর করবেন বলে জানিয়েছেন। মিন্নির চিকিৎসার দরকার হলে কারা কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে বলেও জেলার জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করতে বরগুনার পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যাকান্ডে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ। এরপরই মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ