পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রপিতামহ ছিলেন উসমানীয় শাসনমালের রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত সাংবাদিক আলী কেমাল বে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আদেল ফরিদ পাশার আমলে মাস তিনেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধী হিসেবে আলী কেমাল ইউরোপে বসবাস শুরু করেন। তখন তাকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। উসমানীয় সাম্রাজ্যে আরমেনীয়দের রক্ষার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ১৯১৮ সালের পরে আরমেনীয় ইস্যুতে তিনি বেশ সরব হয়ে উঠেছিলেন।
১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর ইস্তাম্বুলের একটি নরসুন্দরের দোকান থেকে তিনি অপহৃত হন। পরে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারের জন্য মোটরবোটযোগে শহরের এশীয় অংশের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দুদিন পরে জেনারেল নুরুদ্দিন পাশার লোকজন তাতে হস্তক্ষেপ করেন। এরপর নুরুদ্দিনের লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে লাঠি, পাথর ও ছোরা দিয়ে হামলা চালিয়ে হত্যা করেন। মুগুর দিয়ে তার মাথা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। সাংবাদিকতা করার সময় একাধিক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি। সুইজারল্যান্ড ঘুরতে গিয়ে অ্যাঙ্গলো-সুইস নারী উইনিফ্রেড ব্রানের প্রেমে পড়েন। ১৯০৩ সালে তাকে বিয়ে করেন আলী কেমাল।
উইনিফ্রেডের মৃত্যুর পর তিনি তুরস্কের এক প্রভাবশালী পাশার মেয়েকে বিয়ে করেন। সেই ঘরে জন্ম নেয়া জেকি কুনেরালপ ছিলেন সুইসজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং স্পেনে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদ‚ত। ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করা বরিস জনসন ভর্তি হন ব্রিটেনের অভিজাত প্রাইভেট স্কুল এটন কলেজে, যেখান থেকে দেশটি ডেভিড ক্যামেরনসহ বহু প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। পরবর্তী সময়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। সূত্র : হুররিয়াত ডেইলি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।