Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেনা হচ্ছে ১ লাখ ইএফডি মেশিন

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

এক লাখ ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস কিনবে সরকার। নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় ভ্যাট সংগ্রহের জন্য এই ডিভাইস ক্রয় করা হবে। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই সবগুলো মেশিন কেনা হবে। প্রথম লটে ১০ হাজার মেশিন কেনা হবে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৩১৫ কোটি ৮৮ লাখ ২১ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এটিসহ সর্বমোট ছয়টি দরপ্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

সাপ্লাই, ইনস্টলেশন অ্যান্ড কমিশনিং অ্যান্ড অপারেশন অব ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ভিভাইজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (ইএফডিএমএস) এলং উইথ ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি), সেলস ডাটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) অ্যান্ড ম্যানেজড সার্ভিসেস নামের প্রকল্পটিকে বাংলাদেশের লাইফ লাইন হিসেবে আখ্যায়িত করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি হচ্ছে বাংলাদেশের লাইফ লাইন। রাজস্ব আদায়ের জন্য সবচেয়ে বড় এবং মুখ্য এলাকা হলো মূসক সংগ্রহ। দশ বছর আগে থেকে ভ্যাট থাকলে ভাল হতো। কিন্তু তা নেই। সে কারণে আমরা পিছিয়ে গেছি। যাই হোক, এ বছর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনেক বৈঠক করে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। কিন্তু যারা ভ্যাট দেবে তাদের ওখানে মেশিন বসানোর কোন জায়গা নেই। তারপরও আমরা মেশিন কিনছি। এক লাখ মেশিন কিনব। এতো মেশিন একসাথে এবং এক জায়গা থেকে আমরা কিনব না। কারণ, কোন কারণে যদি আমরা আটকা পড়ে যাই তাহলে পুরো ব্যাপারটিই ঝুলে যাবে। তাই আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে কিনব। এক্ষেত্রে একটা শর্ত আছে। সেটি হলো, যারাই মেশিন সরবরাহ করুক না কেন মেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তাই সেভাবেই তাদের সরবরাহ করতে হবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রথমে আমরা ১০ হাজার মেশিন ক্রয় দিয়ে শুরু করব। তারপর ধীরে ধীরে আমরা সংখ্যা বাড়িয়ে ১ লাখ করবো। দুই বছরে আমাদের দুই লাখ মেশিন লাগবে। আমাদের অনেক জনবল লাগবে। আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। তাই আশা করি আমরা ফেইল করব না। আমরা যে ভ্যাট হার রেখেছি তা পৃথিবীর সবচেয়ে কম বলা চলে। আমরা কারোর উপর চাপিয়ে দিচ্ছি না। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল সিঙ্গেল রেট যাতে না করি। আমরা আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিল সংস্থাকে অনেক কষ্টে রাজি করিয়ে এটা বাস্তবায়ন করেছি। তাই সবাই যদি কিছু কিছু ট্যাক্স দিলে আমাদের রাজস্ব অনেক বাড়বে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব মেশিন বিভিন্ন দোকান ও শপিংমলে প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে লম্বা কিস্তিুতে মেশিন দাম সরকারকে পরিশোধ করবেন ব্যবসায়ীরা। এসজেডজেড-কেএমএমটি-সিনেসিস-ইএটিএল নাম একটি চীনা কোম্পানি এসব মেশিন আমদানির কাজ পেয়েছে। প্রতিটি মেশিন আমদানিতে খরচ হবে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। তবে এ কোম্পানিটির পূর্বে এমন কাজের কোন অভিজ্ঞতা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ