পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী ও প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির রিমান্ডের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, একজন মহিলাকে, যুবতী মেয়েকে একজন পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার হেফাজতে দেয়া হলো। একবারও আদালত চিন্তা করল না, তার ওপরে কী ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন হতে পারে! এ ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনাও মানা হয়নি। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে খন্দকার মাহবুব সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, রাজনৈতিক প্রভাবে আমাদের নিম্নআদালতগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের আদেশও তারা অমান্য করছে। আপনারা জানেন, বরগুনায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডের পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেয়া হয়েছে। কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা, সেটা বিচারে দেখা যাবে। আমাদের কথা হলো, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা রয়েছেÑ যদি কাউকে রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়, তাকে অবশ্যই বিচারিক আদালতে উপস্থিত করতে হবে। যার ফলে সে বলতে পারে, রিমান্ডে থাকাকালীন তাকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না। নির্যাতন যদি করা হয়ে থাকে, ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ এই প্রবীণ আইনজীবী বলেন, কথিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পরে তাকে আদালতে না নিয়ে সরাসরি জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হলো। তার আইনজীবী আবেদন করলেন, আমরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছি, সেটা প্রত্যাহার করতে চাই। আপনি তাকে আদালতে আনেন। কিন্তু তাকে আনা হলো না। এভাবে আইনের বরখেলাপ হচ্ছে।
মিন্নিকে জামিন না দেয়ার সমালোচনা করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধিতে রয়েছে, আসামি যদি মহিলা হয়, অসুস্থ হয়, তাহলে আদালত তাকে জামিন দেবেন। আইনের সম্পূর্ণ বরখেলাপ করে রাজনৈতিক প্রভাবে অথবা একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে, মামলার মূল আসামিরা যাতে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, সে কারণে তাকে জামিন দেয়া হলো না। এটাও আইনের বরখেলাপ। আমি আশা করব, আমাদের উচ্চ আদালত এ ব্যাপারে নজর দেবেন, যেহেতু নিম্ন আদালতগুলো সুপ্রিম কোর্টের আওতাধীন। সেই কারণে সুপ্রিম কোর্ট এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সুপ্রিম কোর্টের কাছে লিখিত আবেদন করে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কি না...এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, আমি করিনি। আমি তো আইনজীবী। এটা কোর্টের দায়িত্ব। তাকে যদি জামিন না দেয়া হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যখন আসবে তখন আমরা এর প্রতিবাদ করব। আইনি সহায়তা দেবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।