পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীসহ দেশের সব জেলা-উপজেলায় ফিটনেসবিহীন যানবাহনের লাইসেন্স নবায়নের (রিনিউ) জন্য ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করা না হলে ১৫ অক্টোবর এসব পরিবহন জব্দের নির্দেশ দেয়া হবে। আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও পুলিশের আইজিকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতকে জানানোর জন্য বলেছেন হাইকোর্ট।
ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে বিআরটিএর দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। এছাড়া বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও মো. রাফিউল ইসলাম।
এর আগে গতকাল সকালে দেশজুড়ে ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নবায়ন না করে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি যানবাহন রাস্তায় চলাচল করছে উল্লেখ করে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে চলতি বছর ৬ কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা করা হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ৭২৮ চালককে।
ওই প্রতিবেদন আরও বলা হয়, নবায়ন না করে চলা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি যানবাহনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, রাজশাহী বিভাগে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুর বিভাগে ৬ হাজার ৫৬৮, খুলনা বিভাগে ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেট বিভাগে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮টি গাড়ি মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন হাইকোর্টের দেয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম গতকাল ওই প্রতিবেদন জমা দেন। এর আগে গত ২৩ মার্চ একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নজরে আনা হলে ২৭ মার্চ হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারিসহ অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।