পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন প্রিয়া সাহার স্বামী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মলয় সাহাও। এ লক্ষ্যে তিনি তিনবার ছুটির আবেদন দিয়েছিলেন। তবে দুদক প্রশাসন তার আবেদন মঞ্জুর করেনি। মলয় সাহার পাসপোর্টে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র সফরের সিল থাকায় গোপনে এখন তিনি দেশ ছাড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করে দেশ ও সরকার বিরোধী তৎপরতার বিষয়টি প্রিয়া সাহার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার ফসল। এ ধরণের তৎপরতার পর তিনি যদি দেশে ফিরতে না পারেন এ লক্ষ্যে স্বামী-সন্তানসহ ওই দেশেই থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। কারণ, সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরে নালিশ জানানো এবং সহযোগিতার পর বাংলাদেশে কি প্রতিক্রিয়া হতে পারে- সেটি তিনি জানতেন। অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রিয়া সাহা এটি করেছেন। এটির জের স্বামী মলয় সাহার ওপরও বর্তাবে- এটিও নিশ্চিত ছিলেন তিনি। ফলে প্রিয়া-কান্ডের পরপরই পর্দার অন্তরালে চলে যান মলয় সাহা। তার ব্যবহার্য মোবাইল নম্বরটি কখনো বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আবার কল হলেও ওই প্রান্ত থেকে কেউ ধরছে না। যাবতীয় তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও। শো করছে না ইমু আইডিও। এ ছাড়া সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে তার কক্ষে গিয়েও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রিয়া সাহার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই অফিস করছেন না মলয় সাহা। কোনো ছুটিও নেননি। সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারির মুখে মুখে শুধু মলয় সাহা ও প্রিয়া সাহা । সেই সঙ্গে রয়েছে প্রিয়া সাহার প্রতি ধিক্কার ও ঘৃণা। বিশেষ করে প্রিয়া সাহার এ ঘটনার পর স্বামী মলয় সাহা দুদক কর্মকর্তা হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি আবারো নেতিবাচক ভাবে মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে। মলয় সাহা আত্মগোপনে থেকে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার মলয় সাহা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি দুদক প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা। এমনকি তার ঘনিষ্ট সহকর্মীরাও তার বিষয়ে কোনো কথা বলতে না রাজ।
এদিকে প্রিয়া এবং মলয়স সাহার দুই কন্যা প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা ও ঐশ্বর্য লক্ষèী সাহা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করলেও বর্তমানে বাংলাদেশেই অবস্থান করছে বলে জানাগেছে। মলয় সাহা তাদের সঙ্গে নিয়েই আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি আত্মগোপনে রয়েছেন। গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিতে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছেন। যদিও মলয় সাহার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের অভিযোগ আনা হয়নি। কোনো মামলাও দায়ের হয়নি। তবে তার কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার এবং সেই লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা হন্যে হয়ে খুঁজছে বলে জানায় সূত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।