পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ছেলেধরা’ গুজবে গণপিটুনির ঘটনা থামছেই না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ ও সতর্কতা জারির পরেও গতকালও দেশের বিভিন্ন এলাকায় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন অনেকে। ‘ছেলেধরা গুজব’ প্রতিরোধে যখন নাভিশ্বাস ওঠার পালা, ঠিক তখন ব্যক্তিগত আক্রোশে ‘প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে’ গুজবের ব্যবহারও বেড়ে চলছে। এরমধ্যে গতকাল গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘটেছে ব্যতিক্রম একটি ঘটনা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ঝগড়ার একপর্যায়ে একজন অন্যজনকে ‘ছেলেধরা’ বলা চিৎকার করলে হুজুগে নাগরিকরা তাদের গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে স্ত্রীকে উদ্ধার করে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীপুর সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, স্বামী-স্ত্রী ও স্বামীর এক বন্ধু একটি রিকসায় করে যাচ্ছিলেন। তিনজনকে নিয়ে যখন রিকশাটি চলছিল, তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। স্ত্রীর অভিযোগ- স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। অন্যদিকে স্বামী সে অভিযোগ অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে উভয়ের ঝগড়া তুমুল আকার ধারণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী যখন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না, তখন লাফ দিয়ে রিকশা থেকে নেমে পড়েন। স্বামীর দিকে আঙুল তুলে ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন। ঠিক সে সময়ে রিকশা থামিয়ে স্বামীও নেমে পড়েন। তিনিও স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে ‘ছেলেধরা’ বলে পাল্টা চিৎকার শুরু করেন। ততক্ষণে আশপাশে থাকা লোকজন তাদের দিকে দৌঁড়ে আসেন। উত্তেজিত জনতার কেউ স্ত্রীকে, কেউবা স্বামীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহ করে হামলে পড়েন তাদের ওপর। একপর্যায়ে গণপিটুনি শুরু হলে রিকশায় থাকা স্বামীর নিরীহ বন্ধুটিও জনতার রোষাণালে পড়ে যান। মারধরের একপর্যায়ে স্বামী ও তার বন্ধু কোনরকমে পালিয়ে বাঁচলেও তখনো স্ত্রীর ওপর মারধর চলছিল। তখন কাছাকাছি থাকা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় তানিয়া নামের ওই নারীকে উদ্ধার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মার খাওয়ার সময় তানিয়া বারবার বলছিলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, আমি ছেলেধরা না। কিন্তু জনতা তার কথায় কান দেয়নি।
শ্রীপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় বেড়াইদেরচালা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিনের মেয়ে তানিয়া। রিকসায় করে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয়রা এসে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে দু‘জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার করে। শ্রীপুর থানার এসআই আমিনুল হক বলেন, প্রকৃত ঘটনা জানতে তানিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।