পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবজ ও জিনের ভয় দেখিয়ে একাধিক নারী ও কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে ইদ্রিস আহম্মদ (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন সৈয়দনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ইদ্রিসের বাড়ি সিলেটে। তিনি দক্ষিণখান এলাকায় মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলফোনে ধর্ষণ ও বলাৎকারের অনেক ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলেন, ইদ্রিস দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবজ দেওয়া এবং জিনের ভয় দেখিয়ে নারীদের ধর্ষণ করে আসছে। তার মসজিদ ও মাদরাসার খাদেম এবং ছাত্রদেরও জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখতো এবং কাউকে না বলার জন্য জিনের ভয় দেখিয়ে হুমকি দিতো। স¤প্রতি ভুক্তভোগী এক নারীর অভিযোগের রোববার রাতে সৈয়দনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার মোবাইলফোন জব্দ করলে এর ভেতরে ধর্ষণ ও বলাৎকারের অনেক ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ইদ্রিস আহম্মদ দক্ষিণখানের একটি মসজিদের ইমামতির পাশাপাশি স্থানীয় একটি মাদরাসায় প্রায় ১৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে চার-পাঁচজন নারী ও ১০-১২ জন কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস সিলেটের একটি মাদরাসা থেকে ১৯৯৮ সালে টাইটেল পাস করেন। এরপর সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের একটি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০২ সালে ঢাকায় এসে দক্ষিণখানের ওই মসজিদে ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে এলাকায় ঝাড়ফুঁক এবং তাবিজ-কবজ বিক্রি করে আসসে সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় মামলা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।