পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার মামলায় গ্রেফতারকৃত চার আসামির একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরো তিনজনকে চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গত শনিবার রোমহর্ষক এই হত্যার পর গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। গ্রেফতারকৃত জাফর বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বাকি তিন আসামিকে চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল এই আদেশ দেন। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।
রিমান্ডের আসামিরা হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার গাবতলী হাওলারদার বাড়ির শাহীন, ময়মনসিংহের ধোবাউরা উপজেলার দরশা গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের ফারুকের মুদি দোকানের কর্মী বাপ্পী। গত শনিবার সকালে উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তসলিমা রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, রেনু তার চার বছর বয়সী সন্তানকে ভর্তি করতে স্কুলে গিয়েছিলেন। আর এই হত্যার একটি ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেধরা বলে বাইরে থেকে হট্টগোল শুরু হলে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই স্কুলের কিছু অভিভাবক ও বাইরে থেকে আসা উচ্ছৃঙ্খল মানুষে ভরে যায় জায়গাটি। এর পর হাতে গোনা কয়েকজন যুবক মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে পেটায় রেনুকে। কেউ কেউ এলোপাতাড়ি লাথিও মারছিল। শত শত মানুষ দর্শকের ভূমিকায় তা দেখছিল, কেউ আবার সেই মারধর মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল। এ ঘটনায় নিহত রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু মামলা করার পর রোববার রাতে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পালিয়ে গেছেন প্রধান সন্দেহভাজন হৃদয়। এই মামলার আসামি চার থেকে পাঁচশ’ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।