পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ছেলেধরা’ বা ‘গলাকাটা’ গুজবে পুরো দেশ যখন আতঙ্কগ্রস্ত ঠিক তখন কিছু অসাধু চক্র মাঠে নেমেছে নিজেদের ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে। পূর্ব শত্রুতা বা অন্য বিরোধের প্রতিশোধ নিতে ‘ছেলেধরা’ অভিযোগ এনে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকদের। এমনই একটি জগণ্য ঘটনা ঘটেছে ঢাকার ধামরাইয়ের রোয়াইল কৃষ্ণনগর গ্রামে।
স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে প্রবাস ফেরত এক ব্যবসায়ীকে ‘ছেলেধরা’ বলে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মুদি দোকানী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। হতভাগা নিহত প্রবাসীর নাম আবুল কালাম আজাদ (২৭)। তিনি রোয়াইলের কৃষ্ণনগর গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত মুদি দোকানী সাইফুল ও তার স্ত্রীসহ গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত ১২টার দিকে রোয়াইল ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রবাস ফেরত আবুল কালাম আজাদ মাটি কেনাবেঁচার ব্যবসা করতেন। তিনি দেশে ফেরার পর একই এলাকার মুদি দোকানি সাইফুলের স্ত্রী রোজিনার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে সাইফুল তার স্ত্রীকে ভয়-ভীতি দেখান ও হত্যার হুমকি দেন।
এদিকে, পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে গত রোববার রাতে স্ত্রীকে দিয়ে কৌশলে আবুল কালামকে বাড়িতে ডেকে আনে সাইফুল। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে তাকে ‘ছেলেধরা’ ও পরে ‘ডাকাত’ বলে বেধড়ক মারপিট ও গণপিটুনি দেয় সাইফুল ও তার সহযোগীরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরে পুলিশ গিয়ে পরকীয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং সাইফুল ও তার স্ত্রীসহ ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত সাইফুল একই এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। নিহত আবুল কালামের স্বজন সূত্র জানায়, গণপিটুনির খবর পেয়ে তারা সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কালামের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তার দুই পা ভাঙ্গা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মুখে গুরুতর আঘাতের জখম দেখতে পান। নিহতের স্বজনরা কালামকে হত্যার দায়ে সাইফুল ও তার সহযোগীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
ধামরাই মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক দীপক সাহা বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। হত্যাকারীরা নিজেদের বাঁচাতে নানাভাবে মিথ্যা বলাসহ ভুল তথ্য দেয়। পরে সন্দেহ হলে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুল ও তার স্ত্রী রোজিনা, ফরহাদ, জিয়া , সহিদ ও সাইজুদ্দিন নামে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।