পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাতক্ষীরা ও বান্দরবানে পৃথক স্থানে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল দুপুরে সাতক্ষীরা শহরতলীর কাসেমপুর স্টোন ব্রিকস এলাকা ও বান্দরবানের শামুকছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ও বান্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মংমং থোয়াই মারমা। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে এ রিপোর্ট :
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলামকে (৪৮) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত নজরুল ইসলাম সদর উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের মৃত নিছার আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, সকালে কদমতলা বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন নজরুল ইসলাম। তিনি সদর উপজেলাধীন কদমতলা-বৈকারী সড়কের কাসেমপুর স্টোন ব্রিকস এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে এগিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে কাসেমপুর হাজামপাড়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে যান নজরুল ইসলাম। সেখানেই মারা যান তিনি। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী সাতক্ষীরা-বৈকারি সড়ক অবরোধ করে।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এর আগে নিহত নজরুল ইসলামের ভাই সিরাজুল ইসলামকে বোমা মেরে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসীরা। বছর দুয়েক আগে তার ভাইপো যুবলীগ নেতা রাসেল কবীরকেও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার বলেন, ‹লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ হত্যাকারিদের গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে।
স্টাফ রিপোর্টার, বান্দরবান থেকে জানান, বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। নিহতের নাম মং মং থোয়াই। সে স্থানীয় সাবেক মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা চাই হ্লা উ’র ছোট ভাই।
স্থানীয় স‚ত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে তিনি নিজ মোটরসাইকেলে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে বান্দরবানে ফিরছিলেন মংমং থোয়াই মারমা। এ সময় শামুকছড়ি এলাকায় পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তার পথরোধ করে কাছ থেকে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে তার শরীরে কয়েক রাউন্ড গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় বান্দরবানে নিয়ে আসার পথেই তার মৃত্যু হয়। এই হত্যাকান্ডের জন্য আওয়ামী লীগ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কে দায়ী করলেও বরাবরের মতো জেএসএস এই হত্যাকান্ডে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক যথাযথ শাস্তির দাবি করছি। এদিকে ঘটনার পর বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একে এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সদর হাসপাতালে ভীড় করেন। এসময় তারা এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন। রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করলে সে মারা যায়, কেন গুলি করেছে সেই ব্যাপারে তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২জুন জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অং থুই চিং মার্মা নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির এক সমর্থককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।