পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রিয়া সাহা কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন, সেই ব্যাখ্যা না শুনে তড়িঘড়ি কোনো আইনি ব্যবস্থায় না যেতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সময়বদ্ধ পরিকল্পনার ব্রান্ডিং বিষয়ক সেমিনার শেষে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিয়া সাহা দেশের বাইরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এ ধরণের বক্তব্য কেন দিয়েছেন, সেটা দেশে ফিরে এলে আমার মনে হয় তারও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিত। যদিও এর আগের দিন শনিবার প্রিয়া সাহা ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ’ করেছেন মন্তব্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলেন ওবায়দুল কাদের।
রোববার তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের লিডার, গতরাতে আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন, সেটা হচ্ছে- এখানে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রিয়া সাহা যা বলেছেন, ‘শি শুড মেইক এ পাবলিক স্টেটমেন্ট’। তিনি আসলে কি বলেছেন, কি বলতে চেয়েছেন তার একটি পাবলিক স্টেটমেন্ট করা উচিত, তারও আত্মপক্ষ সমর্থনের একটা সুযোগ থাকা উচিত। তার আগে কোনো প্রকার মামলা বা আইনি প্রক্রিয়া শুরু না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারপ্রধানের এ নির্দেশনার কথা জানানোর আগেই রোববার সকালে ঢাকার হাকিম আদালতে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলার আদালতেও অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে সরকারের অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যায় না স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব মামলা গ্রহণ করা হবে না। অভিযোগের বিষয়ে প্রিয়া সাহার বক্তব্য জানার আগে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
এবিষয়ে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে মানা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী গতকাল একটা মামলা করার কথা ছিল, তাকে আমি জানিয়েছি এ ধরণের মামলার প্রসিডিং শুরু না করতে এবং আইনমন্ত্রীর সাথেও এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। এছাড়া প্রিয়া সাহার ব্যক্তিগত বাড়িঘর সম্পদ, সেখানে যাতে প্রটেকিটিভ মেজার থাকে, যথার্থ নিরাপত্তা থাকে সে স্টেপ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ জানিয়ে দিয়েছি।
গতকাল সকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমার বক্তব্য শুনেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমি তাকে বলেছি, হি ইজ ভেরি হ্যাপি, আমার মনে হয়, হি ইজ ভেরি স্যাটিসফায়েড। আমাদের ভাবনার সাথে পজিটিভলি রেসপন্স করেছে দেখেছি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রিয়া সাহার দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে তার দেশে আসবে না কেন। এখানে হিন্দ- বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের রানা দাসগুপ্তের সাথে কথা হয়েছে। এই বক্তব্য তার ব্যক্তিগত কমেন্ট, এর সাথে পরিষদের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের আসার অধিকার তার আছে, দেশে আসার পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছি না বা কোনো লিগ্যাল প্রসিডিউরও শুরু করছি না। দেশে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশে আসতে পারেন, সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া বা বাধা দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ করার পেছনে কোনো মদদ আছে কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, উসকানিমূলক এবং অসত্য, কাল্পনিক বক্তব্য। তিনি কেন দিলেন, আমরা তার কাছে জানতে চাইব, তিনি দেশে ফিরে আসুক তার কাছে জানতে চাইব, উদ্দেশ্য কি, মোটিভটা কি। এটা তো তার থেকে আমাদের পাবলিক স্টেটমেন্টটা জানা উচিত, আসার পরই কোন স্টেপ নেয়ার বিষয়ে ভাবা যাবে। এর পেছনে কারা রয়েছে এবিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, এ মুহূর্তে আমরা এখনো সবকিছু পরিষ্কার না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।