পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর ভাটারা এলাকায় আয়েশা আক্তার (২৮) নামে এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যাকাÐের মূলহোতা নাজমুলকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) বিভাগ। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত চেতনানাশক ওষুধ, মোবাইল সিমকার্ড ও জিআই তার উদ্ধার করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে ডিবি (উত্তর) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. গোলাম সাকলায়েন এসব তথ্য জানান। এর আগে গত ৪ জুলাই রাতে গলায় জিআই তার পেচিয়ে ওই নারীকে হত্যা করা হয়।
গোলাম সাকলায়েন বলেন, দুই বছর আগে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় আয়েশার। ১২ বছরের এক ছেলে সন্তান ও ৮ বছরের এক কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় থেকে গৃহপরিচারিকার কাজ করতে তিনি। ভাটারা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী জসিম দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে টাংগাইলে থাকেন। ভাটারাতে থাকাকালে ঘাতক নাজমুলের সাথে তার পরিচয় হয়। নাজমুল এক সময় প্রাইভেটকার চালালেও বর্তমানে ইয়াবা ব্যবসা করে। তার সাথে আয়েশার আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠলে তিনি আয়েশাকে কবিরাজের মাধ্যমে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। স্বামীকে বশে আনার উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ২৪শ’ টাকাও। এছাড়া কবিরাজের কথা বলে তার সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নাজমুল। এক পর্যায়ে আয়েশার স্বামী জসিম উদ্দিন তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ টাংগাইল থেকে ঢাকায় বোনের বাসায় বেড়াতে আসলে সেটিও কবিরাজের কারণে হয়েছে বলে আবারও ফাঁদে ফেলে আয়েশাকে।
এদিকে, স্বামীকে ফিরে না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারের ভুক্তভোগী নারী। এ নিয়ে গত ৪ জুলাই দিবাগত রাতে নাজমুলের সাথে আয়েশার অনেক কথা কাটাকাটি হয়। নাজমুল তার কাছে যেতে চাইলে ওই নারী উত্তেজিত হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।