পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকারের দমন-দলন নীতির কারণে যে রাজনৈতিক শুন্যতা তৈরী হয়েছে তা দেশকে ক্রমান্বয়ে সর্বগ্রাসী নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে, জানমালের নিরাপত্তাহীনতা গুরুতর হয়ে উঠছে। পারিবারিক-সামাজিক মূল্যবোধ ভেঙে পড়ছে। দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মাফিয়াদের ররাজত্ব কায়েম হয়েছে। ক্রমে এরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মনে হয় সরকারের মধ্যে অনেকগুলো সরকার কাজ করছে। পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, মাহমুদ হোসেন, এ্যাপোলো জামালী, সরদার রইছউদ্দীন, মোজাম্মেল হোসেন, প্রশান্ত দেব ছানা, সাইফুল ইসলাম, রহিমা বেগম, রাশেদ সরোয়ার, অরবিন্দু বেপারী বিষ্ণু, রফিকুল ইসলাম অভি, নাসিরউদ্দীন, সফিকুল ইসলাম নেওয়াজ, হারুন অর রশীদ, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সাইফুল হক বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক কতৃত্ব হ্রাস পাওয়ায় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পেশাগত দায়িত্বের বাইরে যেয়ে অস্বাভাবিকভাবে কতৃত্বপরায়ন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছে। হত্যা, গুম, খুন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, জবরদখল শাসনের সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতি দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে পুরোপুরি অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও দুদকের মত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্বল, অকার্যকর ও ভেঙ্গে পড়ায় গণদুর্ভোগ আরো চরমে উঠেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়ে দেশ থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিদায় করে দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই অবস্থা পরিবর্তনে তিনি আন্দোলনের পথে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দেন। সভায় বানভাসি দুর্গত অঞ্চলে জরুরীভিত্তিতে খাদ্য, নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় বাম জোটের চার মাসব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ঐক্য জোরদার করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।