পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে প্রিয়া সাহার মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এর পেছনে অসৎ কোনো উদ্দেশ্য বা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিক্রিয়া জানালো সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যে ভয়ঙ্কর মিথ্যা অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ ও কঠোর নিন্দা জানায়। এর পেছনে বাংলাদেশের মারাত্মক ক্ষতির কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করছে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির একটি বাতিঘর, যেখানে সকল ধর্ম ও স¤প্রদায়ের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিতে বসবাস করে আসছেন।
এতে বলা হয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গাদের) অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের মানবিকতা ও উদারতা বিশ্বব্যাপী প্রসংশিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার আশা করে এ ধরনের বড় আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের আয়োজকরা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাবেন, যারা ধর্মীয় স্বাধীনতার মূল্য বৃদ্ধিতে সত্যিকারের অবদান রাখবে।
বিশেষ মতলবে এমন উদ্ভট কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিপীড়নের যে অভিযোগ করেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
গত শুক্রবার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক সমাবেশে যোগ দিয়ে লন্ডন রওনা হওয়ার আগে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এমন আচরণের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা একেবারেই মিথ্যা। বিশেষ মতলবে এমন উদ্ভট কথা বলেছেন তিনি।
জানা গেছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত বুধবার হোয়াইট হাউসে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ করেন প্রিয়া সাহা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিখোঁজ হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সরকারি কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু, যদিও তারা মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। তিনি বলেন, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করেছেন। তাই প্রিয়া সাহার বক্তব্য যে অন্তঃসারশূন্য এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে জঘন্য মিথ্যাচার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ ধরনের অভিযোগে প্রকারান্তরে শান্তিপূর্ণ সমাজে বিশৃঙ্খলা উসকে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তা কখনও হতে দেবে না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হচ্ছে না, সেই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য পূরণেই প্রিয়া সাহা এ অভিযোগ করেছেন বলে মন্তব্য করেন ড. এ কে মোমেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।