Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঘাটতি ৩৫ হাজার

রাজশাহী সিটি পশুর হাট

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

এগিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানী ঈদ। এ অঞ্চলের অন্যতম রাজশাহী সিটি পশুহাট বেশ জমে উঠেছে। পাইকাররা আসছে দরদাম করছে আর ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এখন সপ্তহে দুদিন হাট হলেও কদিন পর হাট বসবে প্রতিদিনই। বাইরের ক্রেতাদের এখন আনাগোনা থাকলেও স্থানীয়দের যাতায়াত শুরু হবে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে।

রাজশাহীর সিটি হাটসহ তিনটি পশুহাট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এবার কোরবানীর পশুর দাম বেশ চড়া। কোরবানীর গরু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি গোশত ছয়শত টাকা কেজি দাম ধরে। অর্থাৎ মণপ্রতি ২৪ হাজার টাকা হিসাবে। যেখানে গত বারও বিক্রি হয়েছে ১৮/২০ হাজার টাকা মণ ধরে। ব্যবসায়ীরা জানালেন এবার আমদানী খুব বেশি একটা নয় বলে দাম বাড়ছে। বেশিরভাগ কোরবানীদাতার আগ্রহ দেশি গরুর প্রতি হলেও এবার এক্ষেত্রে রাজশাহীতে সুখবর নেই। এবারো রাজশাহী জেলায় কোরবানীর পশুর ঘাটতি রয়েছে ৩৫ হাজার। এমন খবরে স্বস্তি নেই ক্রেতাদের মাঝে। তবে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় গরু এলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে স্থানীয়ভাবে খামারীরা বলছেন, এবার তাদের লালন পালন খরচ অনেক বেড়েছে। গো-চারণ ভূমি না থাকা, খাদ্যের দাম বেশি এবং বিভিন্ন কারণে খামার কমে যাওয়ায় কাঙ্খিত পশু উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বেশি হবার কথা। তারা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ২০১৭ সালে একেবারে শেষ মুহূর্তে বানের পানির মত ভারতীয় গরু আসায় কাঙ্খিত দাম পায়নি স্থানীয় খামারী আর বাড়িতে লালন পালনকারীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকসান গুনতে হয়েছে।

রাজশাহী প্রাণী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় কোরবানীর চাহিদা রয়েছে চার লাখ সাড়ে ৪ হাজার পশুর। জেলার নয় উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় সতের হাজার সাতশটি খামার রয়েছে। গতবার জেলায় পশু জবেহ হয়েছিল তিন লাখ ৯৬ হাজার ৫১৯টি। যার মধ্যে গাভী ও বকনা দুই হাজার ৯৮১টি, ষাড় ও বলদ ৭১ হাজার ২৫৬টি, মহিষ ৭৪৫টি, ছাগল তিন লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪টি ও ভেড়া তিন হাজার ৮৪৩টি।

এখন পর্যন্ত খামার ও গৃহস্থ ঘরে কোরবানীর জন্য সম্ভাব্য মজুত রয়েছে তিন লাখ ৬৯ হাজার ৫৭৪টি। যার মধ্যে গাভী ও বকনা ছয় হাজার ১৮টি, ষাড় ও বলদ ৭১ হাজার ৮৩১টি, মহিষ দুই হাজার ৬৭৫টি, ছাগল দুই লাখ ৭৪ হাজার ৭৫টি ও ভেড়া ১৩ হাজার ৬৭৫ টি এবং অন্যান্য এক হাজার ১৩৬টি। প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে প্রতিবছর ২ শতাংশ বৃদ্ধি ধরে সম্ভাব্য চাহিদা নিরুপণ করা হয়। এতে আগামী ঈদে ৩৪ হাজার ৮৭৫টি পশুর ঘাটতি রয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অন্তিম কুমার সরকার বলেন, ঈদুল আযহা আসতে আরো বেশকিছু সময় রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক পশু কোরবানীর উপযুক্ত হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত কোরবানীর পশুর ঘাটতি হবে না।
ভারতীয় গরু-মহিষ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য বলেন, যে পশুগুলো আমরা ভারতীয় বলি সেগুলো আজ থেকে প্রায় বছর খানেক আগে থেকে গৃহস্থ বাড়িতে পালন করা হয়। আর এখন তো রাজশাহীর ঘাট বন্ধ। তবে বিভিন্ন পথে দু’একটি পশু আসা অস্বাভাবিক নয়। এগুলো কাটাইয়ের জন্য পাইকার ও কসাইরা কেনেন।



 

Show all comments
  • আবু সাঈদ ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:১১ পিএম says : 0
    আমার মনে হয় কুরবানী ঘাটতি হবে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ