পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মায়ের জন্য কিস্তিতে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন পিরোজপুরের কামারকাঠী গ্রামের আব্দুর রহিম। সেই ফ্রিজেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে তাদের। রিকশাচালক রহিম হয়ে যান মিলিয়নিয়ার। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কেনা ফ্রিজে মিলে যায় ১০ লাখ টাকা।
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-ফোর এর আওতায় ফ্রিজ ক্রেতাদের এ সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন। যে কোনো মডেলের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতিদিনই ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আছে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক, টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি কিংবা নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুবিধা থাকছে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুর রহিমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির, নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম, ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মশিউর রহমানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
আব্দুর রহিম জানান, বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং দুই ছেলে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার তার। টাকা ধার করে কেনা রিকশা নিয়ে দিন-রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন তিনি। ৯ জুলাই স্বরূপকাঠীতে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘হক এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ১,৮০৬ টাকার মাসিক কিস্তিতে ফ্রিজটি কেনেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।
ওয়ালটন ফ্রিজ কেনা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই কোম্পানির ফ্রিজ অনেক ভালো। দামেও কম এবং কিস্তি সুবিধায় কেনা যায়।
তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের এত বড় অফারের কথা জানতাম না। মায়ের দোয়ায় এটা হইছে। এই টাকা দিয়া জমি কিনা পোলাপানেরে দিমু।যাতে আমি না থাকলেও ওরা চলতে পারে।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, ওয়ালটন নিয়ে আমাদের গর্ব হয়। দেশে এরকম একটি কোম্পানি আছে যারা বিদেশেও পণ্য রপ্তানি করছে। ওয়ালটনের পণ্য কিনে গ্রাহকরা অনেক খুশি। এ অঞ্চলে ওয়ালটন পণ্য শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রæত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রæত কাক্সিক্ষত সেবা মিলবে। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন।
এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন আরও তিনজন। তারা হলেন, চাঁদপুরের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জাকির, কুমিল্লার রাজমিস্ত্রি নাজমুল হাসান এবং ফেনীর কাঠমিস্ত্রি মোহাম্মদ ইয়াছিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।