Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও

বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


 ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন রুখে দাঁড়ান, জনগণের সংগ্রামী ঐক্য জোরদার এবং বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার আহŸান জানিছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা, তাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে। আর লুটপাটের মাধ্যমে বুর্জোয়া ব্যবস্থাকে আরো পাকাপোক্ত করা হচ্ছে।

গতকাল তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সভায় সারা দেশের ৬৪টি জেলা থেকে ৬৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী প্রতিনিধি সভায় সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৪৮ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা রাখেন।

সভার শুরুতে সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু জাফর আহমদ, বাসদের জাহেদুল হক মিলু, রনজিৎ কুমারসহ সকলের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়ক আবু হাসান রুবেল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহŸায়ক হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত আলী। সভায় শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন।

প্রতিনিধি সভায় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে নয়া উদারবাদ ও মুক্তবাজারের নীতিতে বর্তমান সরকার দেশ চালাচ্ছে। তার ফলে দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থা, তাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে। আর লুটপাটের মাধ্যমে বুর্জোয়া ব্যবস্থাকে আরো পাকাপোক্ত করা হচ্ছে। উন্নয়নের শ্লোগানের আড়ালে লুণ্ঠনের তীব্রতা বাড়াচ্ছে সরকার। এর বিরুদ্ধে বামপন্থীরাই একমাত্র বিকল্প।

খালেকুজ্জামান বলেন, স্বাধীন হওয়ার পর গত ৪৮ বছরে বুর্জোয়ারা আদি পুঁজি সঞ্চয়ের পর্যায় অতিক্রম করে তাদের হাতে (৩৬টা পরিবার) অনেক পুঁজি জমেছে। এখন নিরুপদ্রব লুণ্ঠন বহাল রাখতে এক দলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। যে কারণে জনগণের ভোট ছাড়া ৩০ ডিসম্বের নির্বাচন হয়েছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য।

সাইফুল হক বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে তাদের অধীনে আর কোন নির্বাচন সম্ভব নয়। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি সংসদের যাওয়ার মধ্য দিয়ে বর্তমান সংসদ ও বর্তমান সরকারের নৈতিক বৈধতা তৈরি হবে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ