পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি কর্মচারীদের সরল বিশ্বাসে বড় ভুল অপরাধ নয়- দুদক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার দুর্নীতিকে ‘দুর্নীতি’ হিসেবেই দেখবে। দুর্নীতির দ্বিতীয় কোনো ব্যাখ্যা নেই। আলাদা কোনো সংজ্ঞা নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান দুর্নীতি প্রশ্নে ‘সরল বিশ্বাস’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার হতে হবে। তবে এটাকে অন্যভাবে দেখার উপায় নেই।
গতকাল সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে। তবে কোথাও বেশি কোথাও কম। কিছু পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হচ্ছে। কোনো নেতাকে যদি কেউ দেখতে না পারে তার বিরুদ্ধে দুনীতির ছাপ লাগিয়ে দেয়।
মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট করছে সরকার- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তো কোনো দিন উন্নয়ন করেননি। উন্নয়নের রোল মডেলের কী বুঝবেন ফখরুল সাহেবরা? ওনারা তো কালো চশমা পরেন। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখেন না।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচনী ইশতেহারে যে ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছিলেন, সেটা তো এখন ডিপ ফ্রিজে ঢুকে গেছে। তাদের নিজেদের ভিশন যেখানে ডিপ ফ্রিজে, সেখানে তারা অন্যদের উন্নয়ন কিভাবে দেখবেন?
আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি তো বরিশালে জনসভা করেছে। তাদের কোথাও বাধা দেয়া হচ্ছে না। বিএনপি এমন একটি দল তারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। তারা শুধু নালিশ আর অভিযোগ করতে পারে। কর্মীদের চাঙ্গা রাখার জন্য মাঝে মধ্যে এমন কথা তারা (বিএনপি) বলে।
জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল, সংসদে তাদের অনেক আসন আছে। জনগণ তাদের ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছে। এরশাদের অবর্তমানে তাদের দলীয় রাজনীতি ও সাংগঠনিক রূপ কী হবে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। রাজনীতিতে তারাই টিকে থাকবে, যারা সময়োপযোগী রাজনীতির চর্চা ও যুগোপযোগী রাজনীতি করবে।
উপজেলায় বিদ্রোহী ও তাদের সমর্থনকারীদের শাস্তি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা তা যত কঠিনই হোক না কেন, আমরা প্রথমে কারণ দর্শাতে বলি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে, কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না। সহযোগীদের মধ্যে যারা বিদ্রোহী ছিল বা সহায়তা করেছে, তাদের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বন্যা মোকাবেলায় দল ও সরকার যথাযথভাবে কাজ করছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকেও (শুক্রবার) জামালপুর ও গাইবান্ধায় আমাদের প্রতিনিধি গেছেন। আমাদের দলীয় টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় যাচ্ছে। সরকারও আন্তরিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।