Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্প

রিখটার স্কেলে ছিল ৫ দশমিক ৫

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ‚কম্পন অনুভ‚ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টার পর এ কম্পন অনুভূত হয়। চীন সীমান্ত লাগোয়া ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ক্যামেং জেলার বমডিলা এলাকায় ছিল এর উৎপত্তিস্থল। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘এটি মাঝারি ধরনের ভ‚মিকম্পন। এর উৎপত্তিস্থল ভারতে। এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভ‚তাত্তি¡ক জরিপ দফতরের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকাল ৩টা ২২ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫। আবহাওয়া অধিদফতরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৯৯ কিলোমিটার এবং সিলেট থেকে ৩২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের বমডিলা এলাকায়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৬.৮ কিলোমিটার গভীরে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একই সঙ্গে ভূমিকম্প অনুভূত হয় ভারত ও মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলেও। ভূমিকম্পের ফলে কেঁপে ওঠে চট্টগ্রাম-বান্দরবানসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি জনপদ। এ ছাড়া ২৬ ফেব্রæয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৪ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের ভেতরেই। ফেব্রæয়ারির ১৭ তারিখে আবারও চট্টগ্রামসহ দেশের ৬ জেলা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। সে সময় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মিজোরাম। চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৭ রিখটার স্কেল মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।
১২ ফেব্রæয়ারি মৃদু ভূকম্পন আঘাত হানে বঙ্গোপসাগর এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। এর জের ধরে কেঁপে ওঠে ভারতের চেন্নাইয়ের বিভিন্ন অংশ। ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী প্লেট ও সাবপ্লেট দিয়ে গঠিত। এ রকম দু’টি প্লেটের মাঝখানে যে ফাঁক থাকে তাকে বলা হয় ফল্ট লাইন। প্লেটগুলো গতিশীল। দু’টি চলন্ত প্লেটের ফল্ট লাইনে পরস্পর সংঘর্ষ হলে অথবা হঠাৎ ফল্ট লাইনে শূন্য অবস্থার সৃষ্টি হলে ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশ অবস্থান করছে ভারতীয়, ইউরেশীয় ও মিয়ানমারের টেকটনিক প্লেটের মধ্যে।
বুয়েটের গবেষকদের ভূমিকম্প ঝুঁকির মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১ শতাংশ এলাকা মধ্যম (জোন-২) ও ১৬ শতাংশ এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে।



 

Show all comments
  • Hossain Mohammad Iqbal ২০ জুলাই, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
    আল্লাহ সবাইকে মাফ করুক।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Azizul ২০ জুলাই, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
    আল্লহ্ যা করে, মানুষের মঙ্গলের জন্য করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazim Uddin ২০ জুলাই, ২০১৯, ১:২১ এএম says : 0
    ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন
    Total Reply(0) Reply
  • JeSun NoYon ২০ জুলাই, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
    চট্টগ্রামে টের পাইলাম না পাবোই কেমনে আমি তো ঘুমাইছিলাম
    Total Reply(0) Reply
  • Md Arif Islam Mithun ২০ জুলাই, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
    একটা সত্য ঘটনা যখন ভূমিকম্প হওয়ার আভাস আসে হঠাৎ আমার নিজের ভেতর কেমন যেন অলৌকিক কিছু বুঝতে পারি প্রচন্ড মাথা ধরে কিছুতেই এক জায়গায় দাড়াতে পারিনা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ