পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীতে ধসে পড়া ভবন থেকে বাবার পরে ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে ছেলে শফিকুল ইসলাম ব্যাপারীর (১৮) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল। এর আগে একই দিন রাত ৮টার দিকে বাবা জাহিদ আলী ব্যাপারীর (৬০) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। বুধবার দুপুরের দিকে ওই ভবনটি ধসে পড়ে ফল ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে চাপা পড়ে।
এদিকে, পরিবারের উপার্জনক্ষম দুইজনের মৃত্যুতে চরম সঙ্কটে পড়েছে পুরো পরিবার। অসহায় পরিবারটি কিভাবে সংসার চালাবে আর সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালাবে কেÑ এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে আত্মীয়-স্বজনরা।
পরিবার ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীতে একটি পরিত্যক্ত ভবনে থেকে ফলের ব্যবসা করতেন বাবা জাহিদ আলী ও বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম। তাদের ঘাম ঝরানো আয়ের টাকা দিয়েই চলত সংসারের চাকা। ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার খরচও চলত তাদের আয়ের টাকায়। কিন্তু হঠাৎ করে ভবনের ছাদ ধসে নিচে চাপা পড়ে মারা গেলেন বাপ-বেটা দু’জনই। এতে তাদের জীবনের সঙ্গে থেমে গেল সংসারের চাকাও।
নিহত জাহিদুল আলীর ভায়রা মোহাব্বত বিশ্বাস বলেন, নিহতদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানাধীন সুতারকান্দি গ্রামে। বাড়িতে জাহিদ আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম দুই ছেলে ইয়ার আলী (১২) ও খলিল ব্যাপারী (৮) এবং এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন। জাহিদ তার বড় ছেলে শফিকুলকে নিয়ে ঢাকায় ফলের ব্যবসা করতেন। তাদের উপার্জনের টাকা দিয়েই চলত সংসারের খরচ। তাদের মৃত্যুতে এখন পরিবারের আর কেউ যে হাল ধরার থাকল না। এছাড়া তাদের তেমন কোনো জমি-জমাও না থাকায় পুরো পরিবারটি চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সদরঘাট সুমনা ক্লিনিকের পাশে ৬ নম্বর বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে। এতে নিখোঁজ হন জাহিদ আলী ও তার ছেলে শফিকুল। পরে তাদের দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল মিটফোর্ড হাসপাতালে তাদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।