Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাজস্বের সাথে সম্পৃক্ততার দাবি

বিসিএস কাস্টমস এন্ড ভ্যাট ও ট্যাক্সেশন এসোসিয়েশনের ক্ষোভ ও উদ্বেগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ৭:১০ পিএম

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ডিসি সম্মেলনে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাজস্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পৃক্ত হতে চাওয়ার দাবির প্রতি বিসিএস (কাস্টমস এন্ড ভ্যাট) ও বিসিএস (ট্যাক্সেশন) এসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। উভয় এসোসিয়েশন এ ধরণের অযৌক্তিক, এখতিয়ার বহির্ভূত এবং অর্থহীন দাবির বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উভয় এসোসিয়েশন বলেছে, সরকার পরিচালনা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ২৮টি ক্যাডার সৃজন করেছে। প্রত্যেকটি ক্যাডারের নিজস্ব কর্মের পরিধি এবং প্রকৃতি সুনির্দিষ্ট ভাবে নির্ধারিত। রুলস্ আব বিজনেস অনুযায়ী সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরন এবং এ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারনী কার্যক্রম পরিচালিত হয় বিসিএস (ট্যাক্সেশন) ও বিসিএস (কাস্টমস এন্ড ভ্যাট) ক্যাডারের মাধ্যমে। এ দুটি ক্যাডারের কর্মকর্তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নীতি নির্ধারনী নির্দেশনা অনুসরন করে নিজস¦ আইনের আওতায় স্ব স্ব অধিক্ষেত্র থেকে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করে থাকে। আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পুরক শুল্ক আইন-২০১২ ও কাষ্টমস আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা এ দুটি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার জাতীয় রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রন উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে এবং এর নিজস্ব দাপ্তরিক কাঠামো ও জনবল দিয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় রাজস্ব সংস্থানের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসন ক্যাডারভুক্ত ডেপুটি কমিশনারদের সম্মেলনে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদের মর্মার্থ অনুযায়ী জানা যায় যে, জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করে রাজস্ব আদায় পরিবীক্ষণ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রস্তাব পেশ করেছেন। এ ধরনের প্রস্তাব কেবল অন্যান্য পেশা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনের আওতায় পরিচালিত কার্যক্রমে উপর অবৈধ এবং এখতিয়ার বহির্ভুত হস্তক্ষেপই নয়, বরং এর মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব আহরন কার্যক্রমে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। বর্তমান সরকার যখন দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনার প্রচেষ্টায় তৎপর সেই মুহুর্তে দুরভীসন্ধিমূলক এই প্রস্তাব পেশ করার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দেশের ৮৮ ভাগ রাজস্ব যোগানকারী প্রতিষ্ঠান-জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে অস্থিরতা সৃষ্টি করার এই অপতৎপরতার মূল উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ