পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হারে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে জিপিএ-৫ পাওয়াদের সংখ্যায় এগিয়ে ছাত্ররা। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গতকাল বুধবার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা যায়। ৮টি শিক্ষা বোর্ডসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে পাশের হারে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ পাওয়া মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যায় ছাত্রীদের তুলনায় ১ হাজার ৮৬৬ জন ছাত্র বেশি জিপিএ-৫ পায়।
উচ্চ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পাস করা শিক্ষার্থীরা সংখ্যা ৭৩ দশমিক ৯৩ জন। জিপিএ-৫ পায় ৪৭ হাজার ৫৮৬ জন। গতবছরের তুলনায় পাশের হার বাড়ে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ে ১৮ হাজার ৩২৪ জন। মেয়েদের মোট পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ যারমধ্যে জিপিএ-৫ পায় ২২ হাজার ৭১০ জন। অন্যদিকে ছেলেদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ এরসংখ্যা ২৪ হাজার ৫৭৬ জন। তবে মোট পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের শতকরা হিসেবে জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রীদের অনুপাতই বেশি। পরীক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্রের মধ্যে জিপিএ-৫ পান ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, অন্যদিকে অংশ নেওয়া ছাত্রীদের মধ্যে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ ছাত্রী জিপিএ-৫ অর্জন করে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এরপর দুপুর দেড়টা থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এবং যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারেন।
প্রকাশিত ফলাফলের তথ্য অনুযায়ি, দেশের ৮টি শিক্ষা বোর্ডসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে আছে। ঢাকা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৭৪ শতাংশ, ছেলেদের ৬৮ দশমিক ২২ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮১ দশমিক ২১, ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৭, ছেলেদের পাসের হার ৭৭ দশমিক ১২ শতাংশ। যশোর বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৬, ছেলেদের ৭২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৬৫ দশমিক ১১ এবং ছেলেদের ৫৯ দশমিক ২১ শতাংশ। বরিশাল বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪৮ এবং ছেলেদের ৬৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৮৩ এবং ছেলেদের ৬৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। দিনাজপুর বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৯ এবং ছেলেদের পাসের হার ৬৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৭ এবং ছেলেদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৮ এবং ছেলেদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, শিক্ষকদের কঠোর প্রচেষ্টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৫ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হয়। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণে গুণান্বিত ও স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে উঠার আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।