পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমাদের টার্গেট প্রায় ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা মানুষের মোবাইলে থাকবে; আঙ্গুলের সামনে থাকবে। সরকারি সেবাগুলো সহজে ও দ্রুততম সময়ে জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে চাই আমরা। আর সে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চালু করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করার গেটওয়ে ‘পরিচয়’ (www.porichoy.gov.bd)। এই ওয়েবসাইটটি অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে জয় এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, সরকারি সেবা পেতে জনগণকে যেন সরকারি অফিসগুলোতে যেতে না হয় তা আমার স্বপ্ন। তারই একটি অংশ হিসেবে বেসরকারি খাতের সাথে পার্টনারশিপ করে আমাদের এই সফল উদ্যোগ। জনগণের তথ্যসমৃদ্ধ একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
এর আগে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে সরকার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবাকে ডিজিটাল করছে। তেমনই এক যুগান্তকারী সেবা হচ্ছে ‘পরিচয়’। দীর্ঘদিন ধরেই তার নেতৃত্বে ‘পরিচয়’ নিয়ে কাজ করছিলাম আমরা। আজ সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত হলো। আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই সরকারি সেবাগুলো মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছি। এরই বহিঃপ্রকাশ এধরনের সেবা।
‘পরিচয়’ সম্পর্কে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘পরিচয়’ হচ্ছে একটি গেটওয়ে সার্ভার; যা নির্বাচন কমিশনের জাতীয় ডাটা বেসের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং যা সরকারি-বেসরকারি বা ব্যক্তিগত যেকোনো সংস্থার গ্রাহকদের, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করে নিমিষেই সেবা দিতে পারবে।
কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা পোর্টালটিতে নিবন্ধের মাধ্যমে এবং নির্দিষ্ট ফি দেওয়া সাপেক্ষে কোনো নাগরিকের এনআইডি তথ্য যাচাই করতে পারবেন। এনআইডি-তে একজন নাগরিকের প্রায় ২৫ ধরনের তথ্য থাকলেও এনআইডি নম্বর থেকে ৫-৬ টি তথ্য যাচাই করা যাবে এই ওয়েবসাইটে।
এগুলো হচ্ছে- নাগরিকের নাম, বাবা ও মায়ের নাম-ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি। তবে এসব তথ্য পেতে কোনো সংস্থা বা ব্যক্তিকে কত টাকা ফি দিতে হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরীসহ আইসিটি বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।