পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নয়ন কাজের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে ন্যায্যম‚ল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে ডিসিদের পরামর্শ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনে পঞ্চম কার্য অধিবেশনে তিনি জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশ ও পরামর্শ দেন। ভূমিমন্ত্রী বলেন, জমি অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রকৃত মালিকের টাকা পাওয়া ও দেয়ার সময় বেশ সমস্যা হচ্ছে। ৭ ধারা এবং ৮ ধারা নোটিশ হয়ে গেলে সেটাতে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না করা হয়। মামলা তার নিজস্ব তিতে চলবে। ভূমি মালিকদের অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। মামলা নিজস্ব গতিতে চলবে। সাধারণ মানুষের যেন কোনো ভোগান্তি না হয়। জেলা প্রশাসকদের দাবি ছিল রেকর্ড রুম করার। প্রত্যেক উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসে রেকর্ড রুম আছে। নকশা জটিলতার কারণে কিছু অফিসে নেই। আমরা সেখানে রেকর্ড রুম করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। রেকর্ড রুম হবে প্রতিটি উপজেলা ভূমি অফিসে।
ভ‚মিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশনের আওতায় ফসলি জমি রক্ষায় ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ আমরা করছি। যেখানে সেখানে তিন ফসলি করায় জমির ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি পরিদর্শন জোরদার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু আইন সংস্কারের কাজে আমরা হাত দিয়েছি। সেগুলো করতে গিয়ে আমরা যদি কর্মকর্তাদের বদলি করি, সেটা নিয়ে জেলা প্রশাসকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জমান চৌধুরী বলেন, সরকারি ভ‚মি উদ্ধারে অনেক আগেই আমি জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছি। আবার বলেছি, ভালো পারফরম্যান্সের জন্য রিওয়ার্ড দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকরা ছাড়াও কার্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভ‚মি সংস্কার আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভ‚মি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সারা দেশে মশা নিধন সপ্তাহ পালন করা হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী ২৫ থেকে ৩১ জুলাই সারা দেশে মশা নিধন সপ্তাহ পালন করা হবে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ও ভেজাল ওষুধ নিয়ে কী নির্দেশনা দেয়া হলো- ডিসিদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মশা নিধন সপ্তাহ পালন করা হবে। এ কর্মস‚চি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মশার ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চলছে। আমি ইচ্ছে করলেই এমন কোনো ওষুধ পরিবেশে প্রয়োগ করতে পারি না, যেটা মশা মারতে গিয়ে মানুষের ক্ষতি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্্লিউএইচও) থেকে আমাদের ওষুধের অনুমতি নিতে হয়। তারা যেটার অনুমোদন দেয় আমরা সেটাই ব্যবহার করি।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পৌরসভাকে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য আয় বাড়াতে হবে, সেখান থেকেই ব্যয় হবে। আর এ উদ্দেশ্যেই পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। যারা এ কাজ করতে পারবে না বা ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে না, তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। আয়-ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম না হলে পৌরসভা থাকবে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হয় যেসব পৌরসভা নিজেদের আয়-ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম না হয়। তাহলে সেসব পৌরসভা থাকবে না। তাদের ব্যর্থতার জন্য পৌরসভার কর্মচারীরা কষ্ট পাবে এটাও ঠিক হবে না। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে পৌরসভা কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় যে ব্যবস্থাপনা আছে তা বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি সরকার পক্ষ থেকে সাহায্য করার সুযোগ থাকে তাহলে সাহায্য করা হবে। তারা আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের কথা শুনেছি, এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যা করা দরকার করব। যদি আপৎকালীন সহযোগিতা করা যায় তাহলে আমরা করব।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মশার ওষুধ ভেজাল রোধে দুই সিটি করপোরেশন নিয়ে গত মঙ্গলবার বৈঠক করেছি। সেখানে বলা হয়েছে সিটি করপোরেশন যে ওষুধ ব্যবহার করছে সেটার মান নিয়ে কোনো ত্রæটি আছে কি না তা আবার পরীক্ষা করতে দেখতে। ডিসিদের কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, তাদের ওপর যে দায়িত্ব দেয়া আছে তা সঠিকভাবে পালন করার জন্য বলা হয়েছে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সবই স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের আওতায়। সেজন্য আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। দারিদ্র্য বিমোচন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা, তাদের বরাদ্দ যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তা দায়িত্বের সঙ্গে দেখাশোনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসকদের আর্থিক ক্ষমতা ও প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, যেসব জেলা পরিষদের প্রশাসকের কার্যকাল মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করার জন্য আইনগত বিধিবিধানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশের সব বিভাগে হবে ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের চতুর্থ দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, এ ধরনের একটি প্রকল্প ডিপিপি হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে। আশা করছি, শিগগিরই একনেক সভায় প্রকল্পটি পাস হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় পাঁচ শয্যার একটি কিডনি ডায়ালাইসিস হাসপাতাল স্থাপন করতে যাচ্ছি আমরা। এটিরও ডিপিপি কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে। হৃদরোগ ও কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ডিসিদের কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে দিনদিন ক্যান্সার, হার্টের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর কারণ হলো ভেজাল খাবার, পরিবেশ দূষণ, ইটভাটার ধোঁয়া, পানিদূষণ ইত্যাদি। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের খাদ্য লাইন বা ফুড চেইন যেমন- পোল্ট্রি, মৎস্য খামার, পশু খামারগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করার ফলে তা পশু, মাছ, মুরগি হয়ে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। সেজন্য সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে রেজিস্টার পদ্ধতি চালুসহ সবাইকে সতর্ক হতে হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকরা বিভিন্ন ফার্মে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নারী-শিশু নির্যাতনের সঠিক পরিসংখ্যান নেই : প্রতিমন্ত্রী
নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বেজলাইন ডাটা না থাকায় সরকারের কাছে নির্যাতনের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তো বলছি বেজলাইন ডাটা কোথাও নেই। এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে ডিসিদের এ বিষয়ে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। ওনারা যাতে তাদের মনিটরিং ও সহযোগিতা বাড়ায় এ জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডিসি সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আপনাকে কি উদ্বিগ্ন করে- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই উদ্বিগ্ন করে। কারণ আমিও তো নারী। নারী ও শিশু নির্যাতন তেমনভাবে বাড়েনি বা ক্রাইসিস মোমেন্ট তৈরি হয়নি- আপনার এ বক্তব্য গণমাধ্যমেই বেশি প্রচার হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।