পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গরুর গোশত আছে সন্দেহে মাদরাসায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ভারতের হিন্দু জঙ্গিরা। গত মঙ্গলবার ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের ফতেপুর জেলায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট রমেশ বলেন, এদিন সকালে বেহতা গ্রামে গরুর গোশত উদ্ধার হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে কিছু অরাজকতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি মাদরাসায় হামলা চালিয়ে পাথর নিক্ষেপসহ আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় কোনো হতাহতের তথ্য নেই। এ ব্যাপারে একটি মামলা রুজু করে পরিবেশ অশান্ত করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য ওই ঘটনায় পুলিশের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। গত সোমবার মাদরাসার পেছন দিকের একটি জায়গায় গবাদি পশুর দেহাবশেষ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় এলাকার মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
কিন্তু মঙ্গলবার ফের একই জায়গায় গবাদিপশুর দেহাবশেষ মেলায় ক্ষুব্ধ জনতা মাদরাসায় ভাঙচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে তাদের হটিয়ে দেয়। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় জেলা প্রশাসক সঞ্জীব সিং এবং এসপি রমেশ ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিসেবা দপ্তরের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী গত মঙ্গলবার বলেন, ‘ওই ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়, গণতন্ত্র বিরোধী ও ভারতবিরোধী। এসব তারা (হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিরা) করবে, কিন্তু এসব করেও তারা টিকতে পারছে না। ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জয় আছে। এটা অধর্মের কাজ। ধর্মনিরপেক্ষতার কাজ নয়। এসব কাজকর্ম করে তারা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে চাচ্ছে। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দাঙ্গা বাধাতে চাচ্ছে।’
‘মুসলিম সমাজ টিকে আছে মাদরাসা শিক্ষার ওপরেই। মৌলিকভাবে মাদরাসা শিক্ষাকে আঘাত দিলে আগামী দিনে ধর্মীয় শিক্ষা লোপাট হয়ে যাবে। এজন্য তারা মাদরাসার বিরুদ্ধাচরণ করতে চাচ্ছে। ভারতের সংবিধান মাদরাসাকে অধিকার দিয়েছে’।
তিনি বলেন, কে গরুর গোশত খেলো না খেলো, তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা কেন। আসলে ওরা কোনো ইস্যু পাচ্ছে না। মানুষ আর নতুনভাবে কোনো ইস্যু গ্রহণ করছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।