পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এর আগে গতকাল সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাইঠা এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ লাইন্সে আনা হয়। রাতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।
পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী মিন্নি। তার বক্তব্য রেকর্ড ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনা পুলিশ লাইন্সে আনা হয়। রাতে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১০ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি ৩ জন এখনো রিমান্ডে রয়েছে বলে জানান তিনি।
সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্নিকে পুলিশ লাইন্সে আনার সময় তার সঙ্গে বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও আসেন। মোবাইল ফোনে পুলিশ লাইন্স থেকে বলেন, রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডে জড়িত এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করার জন্য মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ লাইন্সে আনা হয়েছে। শনাক্তকরণ শেষ হলে মিন্নিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এরই মধ্যে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শনিবার রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা মিন্নির শ্বশুর আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। তিনি রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে সে। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিস্কার হয়ে যাবে।
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির চাচা আবু সালেহ জানান, মিন্নির বাবার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ সদস্যের পুলিশ টিম এখনো অবস্থান করছে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে আনার জন্য নারী পুলিশের একটি দল মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বাড়িতে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।