পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাবিননামার পাঁচ নম্বর কলাম রাখা না রাখার বিষয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের মতামত চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরির ডিভিশন বেঞ্চ এ মতামত চেয়েছেন। আগামি ২২ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে তাকে এ বিষয়ে মতামত দিতে বলা হয়েছে। কাবিনমার ওই কলামে বিবাহের কন্যা কুমারি, বিধবা নাকি তালাকপ্রাপ্তা- এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটে এই কলামটি ‘নিকাহনামা’ থেকে তুলে দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। রিটকারির কৌঁসুলি আইনুন নাহার সিদ্দিকা শুনানি করেন। তিনি বলেন, নিকাহনামায় নম্বর কলামটি রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই কলামে যেসব তথ্য উল্লেখ করতে বলা হয়েছে সেটি ওই নারীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা বিরোধী। এছাড়া শুনানিকালে আরেক আইনজীবী বেলায়েত হোসেন কলামটি তুলে দেয়ার পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। পরে আদালত কাবিননামায় পাঁচ নম্বর কলামটি রাখার আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কিনা কিংবা কলামটি তুলে দেয়া শরিয়াহ আইনের পরিপন্থি হবে কিনা, সে বিষয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের মতামত জানতে চান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কাবিননামার এই কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট-বøাস্ট। সেইসঙ্গে কাবিননামায় বর-কনের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে কাবিননামার পাঁচ নম্বর বিধিটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল নিশি জারি করেন। রিটের বছর পর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।