পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গবাদিপশুর ন্যায্যম‚ল্য নিশ্চিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশে বাইরের গরুর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সারাদেশে কুরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদের পাশাপাশি কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগগ্রহণ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যা নিরুপন, কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাইরোধ এবং দেশের পশুবিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ-অবৈধ সকলপ্রকার গবাদির অনুপ্রবেশবন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। প‚র্বে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার সারাদেশে কুরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কুরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়। গতবছর ঈদে কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কুরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতন।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম মজুদ থাকবে। ঢাকায় ২টি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কুরবানির হাটবাজারেও ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে এবার। স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী পশু ব্যবসায়ীর নিকট থেকে চাঁদা আদায়সহ পশুবিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত হাসিল- আদায়রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। প্রতিমন্ত্রী সুন্দর ও নিরুদ্বিগ্ন ঈদ উদযাপনের লক্ষে সরকারি- বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকর সহযোগিতাও কামনা করেন।
আন্তঃমন্ত্রণালয়সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকরতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।