Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শত কোটি টাকা আত্মসাতকারী উমেদার মান্নান কারাগারে

বাইরে রিয়েল এস্টেট ভেতরে এমএলএম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট’ নামে কোম্পানি খুলে গ্রাহকের কাছ থেকে ১১০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে পাচারের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় আব্দুল মান্নান তালুকদার ওরফে উমেদার মান্নান অবশেষে কারাগারে। গতকাল সোমবার বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন চাইলে বিচারক গোলক চন্দ্র বিশ্বাস তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। দুদকের মামলায় দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। দুদক সূত্র জানায়, মামলা পর জামিন না নিয়ে উমেদার মান্নান পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়াতে তিনি বাইরে রটিয়ে দেন যে, তিনি ওমরা হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গিয়েছেন। এভাবে অন্তত দেড় মাস ধরে পলাতক থাকার পর আব্দুল মান্নান তালুকদার গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।
দুদকের খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সাবেক উমেদার ও বাগেরহাটের নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদার এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুরপাড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আনিসুর রহমানের নামে গত ৩০ মে বাগেরহাট মডেল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। উচ্চহারে সুদ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ১৩৫ টাকা আমানত সংগ্রহ করে অবৈধ সম্পদ অর্জন, অপরাধলব্ধ আয় স্থানান্তর, রূপান্তর হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয় মামলায়। এতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২), ৪ (৩), ৪ (৪) ধারায় মামলা দায়েরের পর কোম্পানিটির এমডি ও চেয়ারম্যান বাগেরহাট থেকে গা-ঢাকা দেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২০১০ সালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুল মান্নান তালুকদার স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে জমি কেনা-বেচার একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তারা গ্রাহকদের প্রতি লাখে মাসে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে লাভ দেয়ার প্রলোভন দেখান। এভাব্ েবাগেরহাট, খুলনাসহ বেশ কয়েকটি জেলার অন্তত ২০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ২৯৯ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন, যা ব্যাংকিং আইন পরিপন্থী। গত কয়েক বছরে বাগেরহাটের ১৬টি ব্যাংকের ৩০টি (অ্যাকাউন্ট) হিসাব থেকে ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ১৩৫ টাকা ৫৮ পয়সা জমা করে গ্রাহকদের ওই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে পাচার করেন তারা। ২০১৮ সালের শেষ দিকে কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে দুদক অনুসন্ধানে নামে। প্রায় তিন মাস আগে অনুসন্ধানে নেমে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে নানা অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। দুদক এখন ওই টাকা কোথায় পাচার করা হয়েছে তা অনুসন্ধান করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ