পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বাউনিয়া এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত রোববার দিবাগত রাতে বাউনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরদের গ্রেফতার করা হয়। তারা উত্তরার নিউ নাইন স্টার গ্রুপের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে এসব কিশোর। তাদের কাছ থেকে দুটি শটগান, চারটি কার্তুজ, একটি চাইনিজ কুড়াল ও তিনটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা রাজধানীর উত্তরা, তুরাগ, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে কিশোর গ্যাং গ্রুপের আত্মপ্রকাশ ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- হাবিবুর রহমান দাড়িয়া (৩০), ফয়সাল আহম্মেদ (১৭), রাকিবুল হাসান (১৬), রমজান আলী (১৭), বাবু মিয়া (১৭), নজরুল ইসলাম (২৭), শাহীন হাওলাদার (১৫), তুহিন ইসলাম (১৫), মাহমুদ হীরা (১৫), রনি ইসলাম (১৫) ও সাগর হোসেন (১৬)।
র্যাব ১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, র্যাব ১-এর নিজস্ব গোয়েন্দা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে বাউনিয়া এলাকায় ওই গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা অপরাধ করতে অবস্থান করছে। তখন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তুরাগ এলাকায় ওই গ্রুপটি আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ গ্রুপটি এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরা এলাকায় ‘নাইন স্টার’ নামে সক্রিয় ছিল।
তিনি আরো বলেন, আদনান হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় এই গ্রুপের কিছু বিপথগামী সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়। পরে এক সময় গ্যাং গ্রুপটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ইদানীং গ্রুপের সদস্যরা পুনরায় একত্রিত হতে চেষ্টা করছে। তারা নিউ নাইন স্টার গ্রুপ নামে আত্মপ্রকাশ করে। আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে তারা আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই গ্রুপের সদস্যরা ওই স্থানে অবস্থান করছিল। তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, নিউ নাইন স্টার গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ফয়সাল আহমেদ, মো. বাবু মিয়া ও সাগর হোসেন আগে উত্তরার নাইন স্টার গ্যাং গ্রুপের সদস্য ছিল। গ্রেফতারকৃত বাকিরা এদের মাধ্যমে নতুনভাবে দলে এসেছে। নতুন করে গ্রুপে আসা সদস্যরা স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে অধ্যায়নরত বলে তারা জানিয়েছে এবং তারা যে ওই এলাকায় সংগঠিত হয়ে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছিল, সেটাও স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
র্যাবের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গ্যাং গ্রুপের মূল কার্যক্রমের মধ্যে ছিল এলাকার আধিপত্য বিস্তার, স্কুল কলেজে র্যাগিং করা, স্কুল কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবন, ছিনতাই, উচ্চ শব্দ করে মটরসাইকেল বা গাড়ী চালিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করা, ছিনতাই, অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করা সহ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা। এরা এলাকার নিরীহ ও মেধাবী যুবক/কিশোরদের চাপে রেখে জোর পূর্বক দলে আসতে বাধ্য করে। গ্যাং ভিত্তিক এদের নিজস্ব লোগো রয়েছে যা দেয়াল লিখন ও ফেইসবুকে ব্যবহার করে। এরা ফ্ইেসবুকে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে হুমকি প্রদান করে স্ট্যাটাস দেয় এবং পরস্পরের আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করে। এরা গ্যাং এর উপর নির্মিত বিভিন্ন পশ্চিমা চলচ্চিত্র অনুসরণ করে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।