পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের প্রতি প্রকৃত ‘জনগণের সেবক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থের প্রতি অগ্রাধিকার প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল বঙ্গভবনের দরবার হলে বিভাগ ও জেলার প্রশাসনিক প্রধানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার কর্মস্থলে দায়িত্ব ও ক্ষমতার মধ্যে ব্যবধান বজায় রাখুন। ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না, জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেবেন।
রাষ্ট্র প্রধান মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও নাগরিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনকে একটি গুরুত্বপ‚র্ণ ফোরাম হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এ সম্মেলন সরকারের নীতি নির্ধারকগণের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে নীতি বাস্তবায়নকারী হিসেবে আপনাদের মতবিনিময়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের দক্ষ নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, ডিসিদের অবশ্যই জনগণের মৌলিক অধিকার প‚রণে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে কার্যকর ও সঠিক নেতৃত্বদান করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, মনে রাখবেন কোন প্রকৃত দরিদ্র লোকেরা যাতে সরকারি কর্মস‚চির আওতার বাইরে না থাকে।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নতি বিশেষ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্প‚র্ণতা অর্জনের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। তিনি ধানচাষীদের তাদের পণ্যের ন্যায্যম‚ল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয় উল্লেখ করে তাদেরকে স্বার্থান্বেষী মহলের শোষণ থেকে রক্ষায় বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডিসিদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
গৃহায়ন, শিক্ষা, শিল্প ভিত্তিক কৃষির স¤প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট উপজেলা ও উপ-শহরগুলোকে আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান।
আবদুল হামিদ ডিসিদের প্রতি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন, যাতে তৃণম‚ল পর্যন্ত আইসিটি সেবা পৌঁছানো যায়।
প্রেসিডেন্ট বর্তমান ভ‚মি ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে বলেন, সংশ্লিষ্ট অফিসের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং প্রভাবশালী মহলের কারো দোষ পাওয়া গেলে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্যও তিনি ডিসিদের নির্দেশনা দেন।
আবদুল হামিদ বলেন, যে কোন ধরনের অনিয়ম এবং গণমানুষের দুর্ভোগ বন্ধ করাটা দুরহ কাজ। এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মচারি ও লোক অসাধুপায়ে অর্থ উপার্জন করছে।
তিনি বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, ফলে মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপনাদেরকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মাদকের অপব্যবহার দেশের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয় হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট দুর্নীতিকে উন্নয়নের ম‚ল বাধা হিসেবে উল্লেখ করে প্রশাসনের সকল স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি গণমানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মস‚চি বাস্তবায়নে মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে তাদের প্রতি পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসকগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রেসিডেন্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল হক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনারগণ, বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কবরী হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনজিওগুলোর প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কার্যক্রম চালু করতে পারে এমন প্রস্তাব দেন ডিসিরা।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলন শেষে সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেলা প্রশাসকরা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।