পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন। দেশের ইতিহাসে প্রথম সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অতঃপর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এরশাদ সেনাপ্রধান থেকে রাষ্ট্রপ্রধান তথা প্রেসিডেন্ট হন।
এইচ এম এরশাদ ১৯৫২ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি ’৭৩ সালে দেশে ফিরে আসেন। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এরশাদকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান করা হয়।
জিয়াউর রহমান এর কিছুদিন পরই এরশাদকে দেশের সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর এইচ এম এরশাদ সে সময়ের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে অনেকটা বাধ্য করেন ক্ষমতা ছাড়তে। ’৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের কাছে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। সামরিক আইন জারি করে সামরিক আইন প্রশাসক হন এরশাদ। প্রেসিডেন্টসিয়াল শাসনব্যবস্থায় তিনি ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে ক্ষমতা গ্রহণ করে এইচ এম এরশাদ হঠাৎ রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। জিয়াউর রহমানের আদলে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে ১৮ দফা ঘোষণা করে বাস্তবায়ন পরিষদ তৈরি করেন। ওই বছরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র রাজনীতিকদের নিয়ে গঠন করেন জনদল। কিছু দিন পর জনদল পরিবর্তন করে তৈরি করেন জাতীয় ফ্রন্ট। অতঃপর জাতীয় পার্টি। আন্দোলনের মুখে ১৯৮৬ সালের একপাক্ষিক পাতানো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। বিরোধী দল হয় আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের মুখেই ১৯৮৮ সালে ওই সংসদ ভেঙে দিয়ে আবারও জাতীয় নির্বাচন দেন। ওই নির্বাচনে অন্য কোনো দল অংশ নেয়নি। তবে আ স ম রবের নেতৃত্বে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল গঠন করা হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে ‘হটাও এরশাদ বাঁচাও দেশ’ ¯েøাগান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে এরশাদের বিরুদ্ধে। ৯ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এরশাদ। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপি সরকার গঠনের পর সংসদের বিরোধী দল আওয়ামী লীগের চাপে এরশাদকে গুলশানের গৃহবন্দী থেকে কারাগারে নেয়া হয়। দীর্ঘ ৬ বছর কারাভোগের পরে তিনি কারামুক্ত হন। অবশ্য আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৯৯৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বার কারাভোগ করেন।
দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলায় তার সাজাও হয়। এখনো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এরশাদের জাতীয় পার্টি ’৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩৫টি আসন পায়। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পায় ৩২ আসন। মূলত ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সমর্থনে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২১ বছর পর দলটি ক্ষমতায় আসে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটের হয়ে লড়ে সংসদে যায় জাতীয় পার্টি। একই পথে হাঁটে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও। একদলীয় নির্বাচনে সংসদে গৃহপালিত বিরোধী দল হয় জাতীয় পার্টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করলেও সংসদে বিরোধী দল হয় জাতীয় পার্টি। আর বিরোধী দলের নেতা হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।