পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যার ঘটনা নিয়ে বরগুনায় চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। গত ১৩ জুলাই বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, তার ছেলে রিফাত হত্যার ষড়যন্ত্রে পুত্রবধু মিন্নি জড়িত রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সকল তথ্য বেড়িয়ে আসবে। এ ছাড়া মিন্নিকে গ্রেফতার দাবিতে গতকাল বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে মিন্নিকে গ্রেফতার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
একই দিনে মিন্নি তার বাবার বাসায় পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আড়াল করতে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিফাত শরীফে বাবা বলেন, তার ছেলে রিফাতের সাথে বিয়ে হওয়ার পরেও নিয়মিত নয়ন বন্ডের সাথে পূত্রবধু মিন্নির যোগাযোগ ছিল। প্রায় প্রতিদিন নয়ন বন্ডের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো মিন্নি। রিফাতকে হত্যার সময় সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে সরকারি কলেজের সামনের গেটে মিন্নিকে রিফাত তার মটর সাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায় তখন মিন্নি সময়ক্ষেপন করে। আর তার মধ্যেই বন্ড গ্রুপ রিফাতকে মারধর করতে করতে কলেজের পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। সেই সময়ে মিন্নি স্বাভাবিক ভাবেই সেসব আক্রমনের দৃশ্য দেখতে থাকে এবং তাদের পেছনে নিরুদ্বেগ হাঁটতে থাকে। পরে যখন রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী দা নিয়ে এসে নয়নের হাতে কোপাতে শুরু করে, তখন মিন্নি বাঁধা দিলেও তাকে কেউ আঘাত করেনি। এসব বিষয়ের কারনে মিন্নীকেই হত্যাকান্ডের মূল হোতা দায়ী করে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
শ্বশুরের এ দাবিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মিন্নি বলেন, প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতেই আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমার শ্বশুর অসুস্থ। তিনি কখন কী বলেন তার কোনো ঠিক নেই। তিনি বলেন, আমার শ্বশুরকে দিয়ে কোনো মহল স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমাকে জড়িয়ে মামলা হালকা করার চেষ্টা করছে। যাতে আসামিরা ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। আর আমার যদি নয়নের সঙ্গে বিয়েই হবে তবে যখন রিফাতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তখন নয়ন কেনো বাধা দেয়নি। এ সময় তিনি অপপ্রচারকারিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন।
মিন্নিকে গ্রেফতার দাবিতে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে গতকাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন বরগুনার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে হলেও বরগুনার সুশীল সমাজের কোনো প্রতিনিধিকে সেখানে দেখা যায়নি। মানববন্ধনে নিহত রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজীসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ বাদি হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।