পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা বৃষ্টিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের সড়কসহ আশেপাশের সড়কগুলো তলিয়ে যায়। জমে যায় হাঁটুপানি। এতে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। সকাল থেকেই বনানী, কুড়িল, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একই স্থানে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে সকালেই ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও অফিস-আদালতগামীরা রাস্তায় নেমেই পড়েছে দুর্ভোগে।
বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ এই বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়। প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার নিয়মিত যাত্রী আসা-যাওয়া করে। এর সাথে রয়েছে হজ ফ্লাইট। তাদের সঙ্গে তিন-চার হাজার দর্শনার্থীও আসে। এছাড়া বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী চলাচল করায় দিনের ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে এই সড়কটি।
গত শনিবার দিবাগত রাত ও গতকাল রোববার ভোরের বৃষ্টিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কে পানি জমে যায়। তাতে সড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যানবাহন আটকে যায়। সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট।
আব্দুল্লাহপুর থেকে গুলিস্তানগামী বাসযাত্রী জাহানার বেগম জানান, প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে উত্তরার আজমপুরের সড়কে বসে ছিলাম। কোনো গাড়ি পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দর থেকে হাতেগোনা কয়েকটি বাস উত্তরার দিকে যায়। যানজট ও পরিবহন সঙ্কটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে অফিসগামীরা। বিমানবন্দরের ফুটওভার ব্রিজের নিচে ও রেল স্টেশনের সামনে অনেককেই সড়কে দাঁড়িয়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায় বলেন, কাওলা, বনানী কবরস্থান রোডে হাঁটু পানি জমে যায়। এ সড়কের মাঝে পানির কারণে কয়েকটি যানবাহন নষ্ট হয়েছে, বাকিগুলো সীমিত সড়ক দিয়ে ধীরে ধীরে চলাচল করছে। তাই যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগিরা জানায়, ঢাকা কাস্টম হাউসের সামনের সড়ক থেকে বিমানবন্দরের গোলচত্বর পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কটির বেশ কিছু স্থান প্রায় হাঁটুসমান পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিমানযাত্রী থেকে পথচারী সবাইকে পানি পেরিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছিল। পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কও ছিল এবড়োখেবড়ো। তাই অনেককে ফুটপাতে উঠতে গিয়েও বিড়ম্বনায় পড়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা জাহাঙ্গীর নামের এক যাত্রী বলেন, দুবাইও দেখলাম। এখন ঢাকাও দেখছি। নদীমাতৃক বাংলাদেশ নয়, খালমাতৃক দেশের পরিচয় জানতে শাহজালাল বিমানবন্দরই যথেষ্ট।
পানি জমে থাকায় প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা যাত্রীদেরও স্বস্তি মেলেনি। দীর্ঘ যানজট ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দরের মসজিদের সামনের সড়ক পর্যন্ত। পানিতে আটকে থাকায় বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার বিকল হয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে যানজট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। গাড়ির সারি দীর্ঘ হতে হতে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত ছাড়িয়ে একেবারে বনানী রেল গেটে গিয়ে ঠেকে। ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়, রাস্তায় পানি জমে থাকায় গাড়িগুলো ধীর গতিতে চলায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পানি নেমে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তা বলেন, পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই এখানে। তাই অল্প বৃষ্টিতেই নাকাল হতে হয়। একটি গাড়ি নষ্ট হলে অবস্থা আরও বেগতিক হয়। রেকার আনা যায় না। নালার মুখগুলো মাটি ও বালুতে আটকে থাকে। সিভিল অ্যাভিয়েশন (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) থেকে এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।