পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপদ খাদ্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পদদেশে ‘নিরাপদ খাদ্য চাই, ফারুক স্যারের পাশে দাঁড়াই’ লেখা ব্যানারে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা। এসময় আয়োজকরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের অপসারণ দাবি করেছেন। মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এতে উপস্থিত ফার্মেসী অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এস এম আব্দুর রহমান ঢাবি বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক প্রফেসর আ ব ম ফারুক সমন্ধে অতিরিক্ত সচিবের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকিস্বরুপ মনে করেই জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রফেসর আ ব ম ফারুক তার গবেষণার ফল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সেই বিষয় নিয়ে আমাদের একজন অতিরিক্ত সচিব যে মন্তব্য করেছেন, আমরা কোনভাবেই তা সাধারণ মনে করি না। আমরা মনে করি, এই অতিরিক্ত সচিবকে অপসারণ করা দরকার, তার শাস্তি হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘জনস্বার্থে যে বিষয়টি নিয়ে আরও অধিকতর গবেষণা দরকার ছিল, সেই বিষয়টিতে উনি গুরুত্ব না দিয়ে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্বক বক্তব্য দিয়ে তাকে অপমান করেছেন। ফলে বিষয়টির সুরাহা হওয়া দরকার। আমরা দেখেছি যে বিএসটিআই এর অ্যান্টিবায়োটিক টেস্ট করার কোন পদ্ধতি নেই। অনতিবিলম্বে বিএসটিআই এর সক্ষমতা বাড়ানো হোক এবং সেখানে সৎ লোকের নিয়োগ দিয়ে বিএসটিআই এর মাধ্যমে এটা উদঘাটন করা হোক।’
মানববন্ধনে উপস্থিত ঢাবি পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ডা. মো. আবদুজ জাহের বলেন, ‘যদি কোন গবেষণা আপনি ভুল প্রমাণ করতে চান, তাহলে সেটাকে আরেকটা গবেষণা দিয়েই আপনাকে প্রমাণ করতে হবে। অথবা যারা ভিউয়ার্স থাকে তারা বলবে, কিন্তু যে লোকটার বিদ্যা-বুদ্ধি, বিজ্ঞান গবেষণার সাথে কোন সম্পর্কই নাই, প্রাণীসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, তিনি ফারুক স্যারকে, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন শ্রদ্ধেয় বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষক, তার ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে আমরা জানি, তাঁর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করার হুমকী দিয়েছেন।’
‘যেখানে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে, সেটা জার্নালে প্রকাশ করার দরকারটা কি? সেটা আপনি তাৎক্ষণিক প্রকাশ করবেন। আগে মানুষ, মানুষের স্বাস্থ্য। আমাদের আগামী প্রজন্ম শিশুদেরকে আমরা বাজার থেকে দুধ কিনে খাওয়াচ্ছি সেটা ভেজাল, বেবি ফুড কিনে খাওয়াচ্ছি সেটা ভেজাল। এখানে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এমন একটি চক্র করে রাখছে যেটার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, তার সত্যটাও যদি প্রকাশ করেন তাহলে ফারুক স্যারের মতো হুমকির মুখোমুখি হতে হয়।’
ওয়াসার নিরাপদ পানির দাবিতে আন্দোলন করা সমাজকর্মী মিজানুর রহমান মানবন্ধনে সংহতি জানিয়ে বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিকর কোন বিষয় নিয়ে তো ৬ মাস অপেক্ষা করবো না। একটা মানুষ এতোটা বর্বর কিভাবে হতে পারেন যেখানে একজন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক এই ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন তার বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেয়া হচ্ছে। অথচ এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।’
ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার বলেন, ‘অন্য যেকোন জায়গায় ক¤েপ্রামাইজ করা গেলেও খাবারের জায়গায় কোন ক¤েপ্রামাইজ করা উচিত নয়। ফারুক স্যারের গবেষণা ছিল আমাদের মৌলিক বিষয় খাদ্য নিয়ে। কিন্তু সেই স্যারের বিরুদ্ধেই যখন অ্যাকশন নেয়ার কথা বলা হয় তখন সেটা আমাদের হতাশ করে।’
ঢাবি সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদার বলেন, যিনি খাদ্যের ভাইরাস নিশ্চিত করেছেন এবং যে এটি জার্নালে প্রকাশ করে ৬ মাস সময় নষ্ট না করে শুধুৃমাত্র জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এটি আগেই প্রকাশ করেছে আমাদের উচিত ছিল তাকে সাধুবাদ জানানো। কিন্তু তার বদলে তিনি কি পাচ্ছেন, তাকে মামলার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী প্রফেসর মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, সদস্য রাইসা নাসের, নজরুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য চাই আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাচ্চু, ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।