পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শেষ ঠিকানা হোক রংপুরের ‘পল্লী নিবাস’ এমনটাই আশা করছেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ শোকাহত রংপুরের মানুষ। তাদের দাবি রংপুরের ‘ছাওয়াল’ এরশাদকে রংপুরেই দাফন করা হোক। বাবা-মায়ের পাশে অথবা এরশাদের নিজহাতে গড়া স্বপ্নের ‘পল্লী নিবাস’ এ।
এরশাদ প্রিয় রংপুরের সাধারণ মানুষের দাবির সাথে একমত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ। তাদের দাবী রংপুরের সন্তান এরশাদের শেষ ঠিকানাও হোক রংপুরেই। তাছাড়া তিনি এ বিষয়ে এরশাদ নিজেও ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, স্যারের দাফন রংপুরে করার জন্য গত সোমবার আমি সংবাদ সম্মেলন করেছি। আমাদের রাজনৈতিক পিতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যার পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র দাবি স্যারের ইচ্ছা অনুযায়ী পল্লী নিবাসে তাকে দাফন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এরশাদ স্যার অসুস্থ শরীর নিয়ে এ বছরের মার্চে রংপুরে এসেছিলেন। তিনি নিজেই বলেছিলেন আমার শরীর ভালো নেই। আমি যে কোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারি। তোমরা আমার ডিজাইনে পল্লী নিবাসে আমার সমাধি কমপ্লেক্সে করিও। আমি মৃত্যুর পরও তোমাদের মাঝে থাকতে চাই।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গির বলেন, আমরা চাই আমাদের নেতাকে রংপুরেই কবরস্থ করা হোক। রংপুরের মানুষ সব সময় যেন তার কবর জিয়ারত ও দোয়া করতে পারে, এ জন্য আমরা চাই তাকে রংপুরের দাফন করা হোক।
জাপা যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, এরশাদের বাবা মায়ের কবর রংপুরে । তাই আমরা দাবি করছি তাকে রংপুরেই তাকে কবর দেয়া হোক। জাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্যারের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে রংপুরে দাফন করার জন্য শুধু নেতাকর্মীরাই নয়, রংপুরের সর্বস্তরের মানুষের দাবী। তিনি আরও জানান, গত ২৮ জুন রংপুরে আসার কথা ছিল এরশাদের। তার সফরে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। বাড়ির নির্মাণ কাজ দেখতেই তিনি রংপুরে আসতেন এবং নির্মাণাধীন বাড়িতেই এবার উঠার কথা ছিল তার। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি রংপুরে আসতে পারেননি। সুস্থ হয়ে তার নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের ভবন ‘পল্লী নিবাস’ দেখা হল না। সর্বশেষ এরশাদ স্যার রংপুর সফরে এসেছিলেন ৩ মার্চ। তখন তিনি এখানেই তার সমাধি কমপ্লেক্স করার কথা বলেছিলেন। তাই আমরা চাই তার ইচ্ছা অনুযায়ী রংপুরের ‘পল্লী নিবাস’ এ তার সমাধি করা হোক।
এরশাদের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান রংপুরবাসী
রংপুরের ‘ছাওয়াল’ প্রিয় নেতা এরশাদ অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই মন খারাপ এরশাদ প্রিয় রংপুরের মানুষের। যে যার কাছে পারেন প্রতিদিনই খোঁজ নেন প্রিয় নেতার। গতকাল রোববার সকালে তার মৃত্যুর পরপরই সর্বত্র এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয় নেতা ‘রংপুরের ছাওয়াল’ এরশাদের মৃত্যুর খবর শুনে যেন থমকে রংপুরবাসী। শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন কর্মী-সমর্থকসহ রংপুরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তাদের আক্ষেপ, তারা শেষ মুুহুর্তে প্রিয় নেতাকে দেখতে পারলেন না। মন খারাপ নিয়ে ছুটে যান জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে। কবে নেতার লাশ আসবে একনজর দেখবে। বেলা যতই বাড়তে থাকে জাপা কার্যালয়ে কর্মী-সমর্থকদের ভীড়ও ততই বাড়তে থাকে। সকলের একটাই দাবী প্রিয় নেতাকে রংপুরেই দাফন করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।