পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজনীতিকের পাশাপাশি কবি হিসেবেও পরিচিত। তিনি প্রচুর গান ও কবিতা লিখেছেন। তিনি তথাকথিত প্রগতিশীল দলবাজ কবিদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী কবিদের সাহিত্য চর্চার লক্ষ্যে গঠন করেছিলেন এশিয়া কবিতা কেন্দ্র।
১৯৮৭ সালের বন্যার সময় দুর্গতদের সাহস যোগাতে তিনি লিখেছিলেন ‘তোমাদের পাশে এসে বিপদের সাথী হতে/ আজকের চেষ্টা আমার’। তাঁর লেখা গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। দেশের প্রভাবশালী প্রায় সব পত্রিকাতে তাঁর লেখা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত কাব্য, প্রবন্ধ এবং আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ সব মিলিয়ে ২৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থগুলো হচ্ছে- ‘কনক প্রদীপ জ্বালো’ ‘এক পৃথিবী আগামীকালের জন্য’ ‘নির্বাচিত কবিতা’ ‘নবান্নে সুখের ঘ্রাণ’ ‘যুদ্ধ এবং অন্যান্য কবিতা’ ‘আমাদের রক্তে ভেজা অ আ ক খ’ ‘একুশের কবিতাগুচ্ছ’ ‘অন্য দেশ অন্য মানুষ’ ‘ইতিহাসে মাটির চেনা চিত্র’ ‘যেখানে বর্ণমালা জ্বলে’ ‘জীবন সন্ধ্যার সন্ধ্যাতারা’ ‘কারাগারে নিঃসঙ্গ দিনগুলো’ ‘যে কবিতা সুর পেলো’ ‘একুশের কবিতা’ ‘ঈদের কবিতা’ ‘জীবন যখন যেমন’ ‘বৈশাখের কবিতা’ ‘হে আমার দেশ’ ‘প্রেমের কবিতা’ ‘দেশ ও দশের কথা বলছি’ ‘এক আকাশের সাত তারা’ ‘যা ভেবেছি যা বলেছি’ ‘সময়ের কথা ও আত্মবিশ্লেষণ’ ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ এবং ‘বাংলাদেশঃ বর্তমান ও ভবিষ্যতের রূপরেখা।
‘আমার কর্ম আমার জীবন’ বইটি হলো এরশাদের আত্মজীবনী গ্রন্থ। এটা তার আত্মজীবনীর প্রথম খন্ড। ‘আমার জীবনের অবশিষ্ট অধ্যায়’ নামে তাঁর আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খন্ডটিও লেখা শেষ করেছেন। তবে এটা প্রকাশিত হওয়ার আগেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
শুধু লেখালেখিই নয়; এরশাদ খেলাধুলার প্রতি ভীষণ অনুরক্ত ছিলেন। ছোট বেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি সব সময়ই থাকতেন প্রথম স্থানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ছিলেন ক্রীড়া চ্যাম্পিয়ন। সেনাবাহিনীতে চাকরিকালে তিনি সেনা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন চৌকস গল্ফ খেলোয়াড় এবং এদেশে তিনিই প্রথম গল্ফ খেলা জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করেছিলেন। এই খেলা বিস্তারে ও উন্নয়নে তাঁর ভুমিকা অপরিসীম। তিনি নিজে লন টেনিস খেলতেন। এ খেলাটির উন্নয়নেও তাঁর অবদান সর্বজন স্বীকৃত। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা ক্রীড়ার উন্নয়নে তাঁর একটি অনন্য কৃতিত্ব। সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে থাকাকালে তিনি ১৪ পদাতিক ডিভিশন ফুটবল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব লাভ করেন।
১৯৮৯ সালে এরশাদ জাতিসংঘের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পুরস্কার এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের পরিবেশ পুরস্কার লাভ করেন। দেশেও তিনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে টেনিস ফেডারেশনের চেয়ারম্যান, কুর্মীটোলা গল্ফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এবং পথকলি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর তিনি রংপুরে তাঁর মরহুমা মাতার নামে ‘মজিদা খাতুন মহিলা কলেজ’ এবং মরহুম পিতার নামে রংপুরে ‘মকবুল হোসেন ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।