পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের সাবেক জিওসি মেজর জেনারেল (অব.) আবুল মঞ্জুর হত্যার ঘটনায় কেটে গেছে ৩৮ বছর। এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ মামলায় রায়ের জন্য বহুবার দিন ধার্য হলেও রায়ের আগে আবার অধিকতর তদন্তের জন্য সময় চাওয়া হয়। এরপর পরিবর্তন হয়ে যায় বিচারক। মূলত এই মামলার কারণে এইচ এম এরশাদ ছিলেন দেশের রাজনীতিতে তুরুপের তাস।
১৯৮১ সালের ঘটনার পর মঞ্জুর হত্যা মামলা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। মামলা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৪ বছরে নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ২২ জন বিচারক বদলি হয়েছেন। মঞ্জুর হত্যার দীর্ঘ ৩৮ বছরেও রায় হয়নি এ হত্যা মামলার। বরং এ মামলাকে ব্যবহার করে এইচ এম এরশাদ হয়ে যান রাজনীতিতে ‘তুরুপের তাস’।
সর্বশেষ গত ২৭ জুন মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলেও সিআইডির পক্ষ থেকে তা জমা দেওয়া হয়নি। পরে আগামী ২৬ আগস্ট নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ মামলার বর্তমান বিচারক ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ এ এম রেজা জাকের নতুন এ দিন ধার্য করেন। পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অস্থায়ী আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলছে।
এরশাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন এইচ এম এরশাদ। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) আসাদুজ্জামান রচি বলেন, ‘মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য রয়েছে। তবে এইচ এম এরশাদ মারা যাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এতে করে মৃত্যুর পর মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পাবেন।
মঞ্জুর হত্যা মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সে সময়ের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর।
জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর পালিয়ে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেসনানিবাসে নিলে সেখানে তিনি নিহত হন।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও মৃত্যুর সনদ পেতে দেরি হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি মঞ্জুরের ভাই আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পর্যায়ক্রমে ২২ জন বিচারক বিচারিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জন বিচারক বিভিন্ন কারণে বদলি হয়েছেন। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি মামলার ২৩তম বিচারক হিসেবে ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়।
এদিকে মামলার অন্য দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন প্রধান আসামি এইচ এম এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।