পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। এরশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরার পর গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টারয় ফেসবুকে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন। এই মুহূর্তে ভারতের আজমীর শরীফে অবস্থান করছেন বিদিশা। বিতর্কিত নারী বিদিশা সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের সঙ্গে প্রায় ৬ বছর ঘরসংসার করেন। তবে এরশাদ তাকে ডিভোর্স দেন। এরশাদ-বিদিশা দম্পতির সন্তান এরিক। এক যুগ আগে এরশাদের সঙ্গে বিদিশার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর পুত্র এরিক কার কাছে থাকবে তা নিয়ে বিরোধ বাধে। আদালত পিতা এরশাদের কাছে পুত্র এরিককে রাখার নির্দেশনা দেয়; তবে মা বিদিশা প্রতি সাপ্তাহে পুত্রকে দেখতে যাবেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘদিন বিদিশ সাবেক এমপি মাহবুবুর রহমানের বারীধারার বাসায় পুত্র এরিককে দেখতে যেতেন। পরবর্তীতে এরিক নিজেই মায়ের কাছে নিয়মিত যান। সাবেক স্বামী এরশাদের মৃত্যুর পর সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘এ জন্মে আর দেখা হলো না। আমিও আজমীর শরীফ আসলাম আর তুমিও চলে গেলে। এতো কষ্ট পাওয়ার থেকে মনে হয় এই ভালো ছিল। আবার দেখা হবে হয়তো অন্য এক দুনিয়াতে; যেখানে থাকবেনা কোনো রাজনীতি।’একই সময়ে বিদিশা সিদ্দিক ফসবুকের প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করেন। এতোদিন বিদিশার ফেসবুক প্রোফাইলে এরশাদ ও তাদের ছেলে এরিকের ছবি ছিল। সেই ছবি সরিয়ে বিদিশার শোকের কালো ব্যাজের ছবি দিয়েছেন। এরশাদ গত ৪ জুলাই থেকে সিএমএইট এ আইসিইউতে ছিলেন। এ সময় বিদিশা সাবেক স্বামী এরশাদকে নিয়ে ফেসবুকে আরো কয়েকটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
বিদিশা তার ‘শত্রæর সঙ্গে বসবাস’ বইয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের শারীরিক বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘লম্বা একহারা গড়নের বয়স্ক লোক। কত হবে বয়স? ৫০-ও হতে পারে। আবার ৭০-ও হতে পারে। তবে প্রথম দর্শনেই মনে হলো নিজেকে নিয়ে খুবই সচেতন তিনি। এই সচেতনতা নিজের শরীর নিয়ে যেমন, তেমনি পোশাক নিয়েও। বেশ দামি পোশাক, জুতা, ঘড়ি ছিল তার পরনে।’ তিনি লেখেন ‘উনি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতেন। প্রশংসা করতেন আমার পোশাকের। আমার রুচির। আমার বুদ্ধিমত্তার। আমার খুশি দেখে বিরক্ত হতো আমার বন্ধুরা। এরশাদের কথার মধ্যে, শব্দ চয়নে, শব্দ উচ্চারণে, প্রসঙ্গ নির্বাচনে এক ধরনের আভিজাত্যের ছাপ থাকতো। শুনতে আমার ভালো লাগতো।’ বিদিশার একটি ফ্যাশন হাউজ ছিল। সেটি ছিল গুলশানে। তার নাম ইজবেল হাউস। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ এক সকালে ইজবেল ফ্যাশন হাউসে মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। এরশাদের বিষয়ে বিদিশা লিখেছেন, ‘আমার জীবনে নতুন পুরুষ। একজন সংবেদনশীল মানুষ। বৃদ্ধ কিন্তু সক্ষম। জীবনে প্রথম ভালোবাসা পেলাম। এক সময় মনে হলো -আই অ্যাম ইন লাভ উইথ এরশাদ। আমি এরশাদের প্রেমে পড়ে গেছি।’
বিদিশার সঙ্গে এরশাদের প্রথমে বিয়ে হয় লন্ডনে। তবে সে বিয়ের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। পরে ২০০২ সালের ২৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এরশাদ-বিদিশার বিয়ে হয়। ২০০৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তালাকের এতো বছর পরও বিদিশা এরশাদকে ভুলতে পারেননি। বিদিশা সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন ‘এরশাদই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রেমিক’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।