Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলিম নির্যাতনে নীরবতা ও সরকারি দাওয়াতে আলেমদলের হজ গমন

রাজনৈতিক ভাষ্যকার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বিশ্বের নানা স্থানে মুসলিম নির্যাতন এখন সংবাদ হিসেবে খুবই স্বাভাবিক। এ অবস্থা ইউরোপীয় নানা উপনিবেশবাদ, নাস্তিক্যবাদী সমাজতন্ত্র ও ধর্মহীন সেক্যুলারিজমের রূপ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের ওপর দুই তিন শতাব্দী ধরে চলছে। বিশেষ করে একশ’ বছর যাবৎ খেলাফতহীন বিক্ষিপ্ত মুসলিম উম্মাহ নানাভাবে চরম নির্যাতনের শিকার।

ফিলিস্তিনে কাশ্মীরে চীনা তুর্ক অংশে আসামে ইরাক সিরিয়া লিবিয়ায় নির্যাতন কেবল চলছেই। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস বাংলাদেশে পাক বাহিনী যে ধরনের মানবতাবিরোধী আচরণ করেছিল এরচেয়ে বহুগুণ বেশি জুলুম নির্যাতন ভারতীয় বাহিনী সত্তর বছর যাবৎ কাশ্মীরসহ ভারতের নানা অঞ্চলে নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বসমাজ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যথাযথ সোচ্চারও হচ্ছে না। কারণ এখানে তাদের কোন স্বার্থ নেই।

গত কিছুদিন ধরে ভারতজুড়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সমর্থকরা ভারতের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিনষ্ট করে চরম ধর্মীয় উগ্রবাদ তথা হিন্দু মৌলবাদনির্ভর আচরণ করছে। মুসলিমদের হত্যা, মারপিট, অবমাননা ও ভীতি প্রদর্শনসহ সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। যার খবরাখবর এক শ্রেণির নতজানু ও খরিদা মিডিয়া বেমালুম চেপে গেলেও বহির্বিশ্বের বহু মিডিয়া এ নিয়ে সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করছে।

আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী মিডিয়া এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে যেভাবে এড্রেস করছে তাতে ভারতের ব্যাপক বদনাম হয়ে যাচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে পৃথিবীর মানুষ ভারতের উগ্রবাদীদের হিংস্রতা দেখতে ও জানতে পারছে। সে দেশের বিবেকবান নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা এ নিয়ে মুখ খুলছেন। অমর্ত্য সেন, অরুন্ধতি রায় প্রমুখ খোলামেলা মন্তব্য করছেন। রামের নাম ব্যবহার করে নিরপরাধ ও নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, এ নিয়ে সাধারণ হিন্দুরাও ব্যথিত। আরএসএস বজরং দল ইত্যাদি সংগঠন রীতিমতো বিশ্বব্যাপী নতুন একটি রূপ নিয়ে পরিচিত হচ্ছে।
ভারত সরকার যে পরিমাণ বদনামের ভাগী হয়েছে তা বিগত সাত দশকেও কোন দিন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অদ্ভুত নীরবতায় আচ্ছন্ন। এর কারণ বা ব্যাখ্যা জনগণ বেশ ভালো করেই জানে। তারা সার্বিক অবস্থা বুঝতেও পারে। তবে ঈমানদার নেতৃবৃন্দ ও ইসলামী দল বা সংগঠনের আচরণ নিয়ে মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হয়। মুসলিম বিশ্বের যে কোন সমস্যা নিয়ে কথা বলা ব্যক্তি ও দলও চলমান এ সময়ে নীরব থাকায় সাধারণ মুসলমানরা বিস্মিত হয়।

ঈমানী দায়িত্ব পালনে মানুষের ন্যূনতম স্পৃহাটুকুও নেতারা হৃদয়ঙ্গম করতে পারছেন না; মনে করে মানুষ দুঃখ পায়। এরপর ধীরে ধীরে কিছু কথা বক্তৃতা বিবৃতি আসতে থাকে। অনেক বিলম্বে হলেও সম্প্রতি কিছু কর্মসূচিও বিভিন্ন সংগঠন দেয়। ঈমানী আন্দোলনের বৃহৎ অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম হেফাজতে ইসলাম এ বিষয়ে কঠোর নীরবতা ও অখন্ড উদাসীনতার স্বাক্ষর রাখে।

কেন্দ্রীয়ভাবে মুখে কিছু বলা, একটি বিবৃতি দেওয়া, অন্তত প্রকাশ্যে দোয়া করা, দেশবাসীকে নফল ইবাদত কিংবা দোয়া মোনাজাতের আহ্বানও সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগতভাবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নামে একটি বিবৃতি তার ভক্তরা প্রচার করেছেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের বিভিন্ন শাখা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কর্মসূচি পালন করেছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও সোচ্চার ছিলেন।

গত জুমার নামাজের পর খেলাফত মজলিস বাইতুল মোর্কারম এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর আগের জুমায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর তারা জাতীয় প্রেসক্লাবে গোলটেবিল, সভা সমাবেশ, আগামী ২৯ জুলাই ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে মিছিলসহ স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করে। দেশের সাধারণ আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখ ও ইমাম খতিবগণ দলনিরপেক্ষ ঈমানী প্রেরণায় মুসলিম নির্যাতনের নিন্দা প্রতিবাদ ও তাদের জন্য সমবেদনা দোয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষের সমবেদনা মজলুম মুসলমানদের প্রাপ্য।

বাংলাদেশের সরকারের কুটনৈতিকভাবে ভারতের কাছে তার উদ্বেগ প্রকাশ করা ছিল স্বাভাবিক। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সব বাংলাদেশির কর্তব্য ভারতীয় মজলুম মুসলমানের পক্ষ অবলম্বন করে সোচ্চার হওয়া। কেননা এটি একটি পরীক্ষা। ভারতে যেভাবে বিজেপি সরকার দেশব্যাপী মুসলিম প্রধান এলাকায় নাগরিকত্ব বাতিলের কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে এর কুফল তাদের ভোগ করতে হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। দেওবন্দ দিল্লিসহ সারা ভারতে বড় বড় মুসলিম জমায়েত ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ সে ইঙ্গিতই দেয়।

আসামের রাষ্ট্রহীন মানুষ শেষ পর্যন্ত যে বাংলাদেশের ওপরই চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হবে এটাও সহজে আন্দাজ করার মতো ব্যাপার। বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার হওয়ার সময় বয়ে যায়। রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও গণমাধ্যম ব্যর্থ হলেও সাধারণ মানুষ ব্যর্থ নয়। তারা তাদের মনোভাব জানান দেয়ার সুযোগ পেলেই তা দিয়ে দেয়। এখানে ইসলামী নেতৃত্বের ভ‚মিকা জনগণ লক্ষ্য করছে, ইতিহাসও তা নিপুণভাবে সংরক্ষণ করছে। আল্লাহর কাছে জবাব দেয়া ও নিজের ঈমানী দায়িত্ব পালনের তাগিদ যেন ইসলামী অঙ্গনকে সচল রাখে। তারা যেন আল্লাহর চেয়ে মানুষকে বেশি ভয় না করেন।

এ বছরই প্রথম দেশবরেণ্য পঞ্চান্নজন আলেম ও শায়েখকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে হজ করাচ্ছেন, যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রীতি চালু করে একটি ভালো কাজ করেছেন। দেশের নানা চিন্তা ও মতের এমন সমন্বিত গ্রুপ অতীতে খুব কমই দেখা গেছে। মন্ত্রণালয় বা অন্য যেই এ বাছাইটি করে থাকেন খুব দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। হেফাজত ও হেফাজতবিরোধী উভয় ধরনের আলেম একসাথ করা হয়েছে। একটি অঞ্চলের লোকজন বেশি সংখ্যায় না নিয়ে দেশের আরো কিছু এলাকা শামিল করলে তালিকাটি বেশি সুন্দর হতে পারত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য সূত্র থেকে যেসব কথা পাওয়া যাচ্ছে, সেসব কথাও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। যেমন কাকতালীয়ভাবে হলেও কয়েকজন পিতা-পুত্র বিশিষ্ট ও দেশসেরা ওলামা মাশায়েখের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ব্যাপারটি কিছুটা হলেও হালকা হয়ে গেছে। এমন কিছু বয়োবৃদ্ধ ও নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত আলেমের নামও এসেছে যারা হাজীদের ধর্মীয় নির্দেশনা বা কোনরূপ খেদমত করতে পারবেন বলে মনে করা যায় না। কারণ তাদের অনেকেই কঠিন হৃদরোগী, হুইল চেয়ারে চলেন, ওষুধনির্ভর জীবন, তাদের সচল রাখতেই একাধিক খাদেমের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া এমন আলেমও আছেন যারা বিশ ত্রিশবার হজ করেছেন। রাষ্ট্রীয় খরচে হজ করতে তারা আগ্রহীও ছিলেন না। এখন একরকম পরিবেশগত চাপের মুখেই পাসপোর্ট জমা করছেন।

অনেকে আবার নিজের তাকওয়াগত ইমেজ নষ্টের আশঙ্কাও করছেন। এসব ক্ষেত্রে হজে যাওয়া না যাওয়ার স্পষ্ট এখতিয়ার রেখে প্রথমেই তাদের প্রস্তাব করা উচিত ছিল। নাম ঘোষণার পর অনেকে বিব্রত হলেও এখন না যাওয়ার কথা বলতে পারছেন না। আলেমদের রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বা সরকারের আনুক‚ল্য গ্রহণ না করার অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। যেমন, যুগে যুগে অসংখ্য ওলামা মাশায়েখ কোন বড় কারণ না থাকা সত্তে¡ও কেবল নিজের আধ্যাত্মিক স্বচ্ছতা ধরে রাখার জন্য এসব অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন।

কিছুদিন আগেও চরম অসুস্থতার সময় হাসপাতালের বেডে শুয়ে আটক করা পাসপোর্ট ফিরে পান আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। কিন্তু সরাসরি সরকার প্রধানের তরফ থেকে বিদেশে চিকিৎসার আহ্বান পেয়েও তিনি শাসকদের আনুক‚ল্য গ্রহণ করে বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কোনরূপ দায়বদ্ধ হতে চাননি। বিনয়ের সাথে আহ্বান ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সরকার নানা সময় বহু মানুষকে হজে নেয়, চিকিৎসা ও গাইড দেয়ার কাজে। মন্ত্রী সচিব ও বিশিষ্টজনেরা যান হজ টিমে। ওলামা-মাশায়েখ হজযাত্রীদের ধর্মীয় নির্দেশনা ও দীনী খেদমতের নামে যাচ্ছেন এবারই প্রথম। এখানে দুটি বিষয় খেয়াল করলে এ গ্রুপটি নিয়ে কোন বিরূপ আলোচনার সুযোগ মানুষ পেত না। এক, সরকারের রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য এতে নেই তা স্পষ্ট হয়, তালিকাটি এভাবেই বাছাই হওয়া উচিত ছিল। দুই, প্রকৃতই হাজীদের ধর্মীয় ও মানবিক খেদমতে নিজেকে নিবেদিত রাখতে পারেন এমন যোগ্য ও দক্ষ আলেম তালিকায় থাকলে ভালো হত। যারা নিজ উদ্যোগে হজে যেতে পারেন না অথচ অনেক মহব্বত ও স্পৃহা হৃদয়ে লালন করেন। সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়, তবে এ নিয়ে আরো সচেতনভাবে এগুতে হবে।



 

Show all comments
  • মনজুর এলাহী শওকত ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 1
    খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় তথ্য গুলো উঠে আসাতে আমি খুব আনন্দিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ali ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 1
    বিবেক হীন আলেম সমাজের কারনে আমাদের এই পরিনিতি
    Total Reply(0) Reply
  • আল কারীম মহিলা মাদরাসা ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 1
    কওমি উলামা কেরাম সর্বদা বাতিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন হুংকার আছে বলে ,তাদের কে দাম দেয়, যেটা আলিয়াদের দেয়না, তাই তাদের আপষে চলা যাবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদী হাসান ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 1
    খুবই সময়পোযোগী একটা লেখা। যারা হজে গেছে তাদের কাছে লেখাটা পৌছা দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Mirza Anik Hasan ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 1
    যারা মুসলিম নির্যাতনে নিরবতা পালন করে তারা কেমন মুসলমান, তাদের দিয়ে ইসলামের কী এমন উপকার হবে বুঝে আসে না। আবার সরকার ওদেরকেই হজে পাঠায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohi Uddin ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 1
    হায় আলেম উলামা, হায়রে মুসলমান আজ প্রতিবেশী দেশে মুসলিমরা কী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার, অথচ প্রতিবাদ নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Islam ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 1
    এদেশের কখিত কিছু আলেমও ভারতের দালাল হয়ে গেছে, তাদের কাছে ভারতপ্রিতিই বড় কিছু মুসলিম ভাই কিছু না।
    Total Reply(0) Reply
  • সাখাওয়াত হোসেন উজ্জ্বল ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
    সরকার তার পছন্দের আলেম উলামাদের হজে পাঠিয়েছে। তাই যারা ভারতবিদ্বেষী তাদের েএতে স্থান হয়নি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mustafizur Rahman ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 1
    বাংলাদেশে এত ভালো ভালো আলেম থাকতে এই সব বোবা আলেমদের হজে পাঠানো হল, যারা মুসলিম ভাইয়ের দুর্দিনে পাশে দাঁড়ায় না, নিজের মান সম্মান, খ্যাতি ধরে রাখার চিন্তা করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmud Hasan ১৪ জুলাই, ২০১৯, ৭:৫৯ এএম says : 1
    যে আলেমদের হজ্বে নেওয়া হবে তাদের নামের তালিকাসহ দিলে ভাল হত
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmud Hasan ১৪ জুলাই, ২০১৯, ৮:০০ এএম says : 1
    যে আলেমদের হজ্বে নেওয়া হবে তাদের নামের তালিকাসহ দিলে ভাল হত
    Total Reply(0) Reply
  • মেহেদী হাসান ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১১:৪৬ এএম says : 1
    বাংলাদেশের একশ্রেণির আলেম শুধুই পেট পুজা বুঝে, তাদের অন্তরে তাকওয়ার ছিটেফাটাও নেই। আল্লাহ তায়ালা তাদের হেদায়েত দান করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • মীর হাবিব ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১১:৪৭ এএম says : 1
    খুবই সুন্দর একটি লেখা। কিন্তু যদি ওদের হেদায়েত হতো...
    Total Reply(0) Reply
  • তাওহীদ ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১১:৪৭ এএম says : 1
    যে মুসলমান আরেক মুসলমানের বিপদে পাশে দাড়ায় না বথা বলে না সে কিসের মুসলিম।
    Total Reply(1) Reply
    • mohammad Sirajullah ২০ জুলাই, ২০১৯, ১১:২৯ পিএম says : 4
      I am sorry to say that if a person does not to help another person ( not necessarily Muslim) can not be a Muslim either.
  • কে,এস,রয় ১৫ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩৮ এএম says : 1
    চমৎকার লিখা। বিপন্ন মানুষের পাশে দাড়ানো মানুষের উচিত, সেটা যে কোন জাতি বা ধর্মেরই হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • BM Nayem Hossain ১৬ জুলাই, ২০১৯, ৯:২৮ এএম says : 1
    যদি এই হজ্বে ঐ সমস্ত আলেমদেরকে নেওয়া হতো যাদের হজ্বে যাওয়ার ইচ্ছা থাকা সত্বেও অর্থের অভাবে হজ্বে যেতে পারে না।তাহলে সরকারের উদ্দেশ্য ঠিক ছিল। কিন্তু এখন যা করছে যাদেরকে নিচ্ছে তাতে আমার মনে হয় সরকারের অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাই তাদের সরকারি খরচে হজ্বে যাওয়াটা মোটেও উচিত নয়, যদিও এতে কোন নির্যাতনের শিকার হয়। এতে তারা আল্লাহর কাছে পাবে অধিক সম্মান। আর এখন তারা আল্লাহর কুরআনের শহিদ হাফেজদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে হজ্বে যাওয়া আল্লাহর শপথ ঐ হজ্ব কোন কাজে আসবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Nurul Amin ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১:০৮ পিএম says : 1
    মূল উপস্থাপনায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনা হলেও হজ্জের প্রসংগ কমেন্টে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অথচ দুনিয়া জুড়ে মুসলিম নির্যাতন এবং সে বিষয়ে মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও সরকারের উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা না থাকার প্রসংগটি তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অংগনেও মুসলিম নেতৃবৃন্দের ভূমিকা কোনো কোনো ক্ষেত্রে রহস্যজনক মনে হয়।উইঘুর মুসলিম প্রসংগে পশ্চিমা দুনিয়ার আগ্রহ যতটা দেখা যায়, কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ঠিক ততোটা নয়।ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে আর উইঘুরদের বিষয়ে সৌদি এবং আমেরিকান ভূমিকার পার্থক্য লক্ষ্য করার মতো।বরাবর যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি ও আমেরিকার সাথে মতৈক্য থাকে অথচ উইঘুর বিষয়ে সৌদি আরব, পাকিস্তান ও মিশরসহ ৩৫টি দেশ মার্কিন নীতির বিপরীতে চীনা নীতির সমর্থনে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিলেন। যে বিব়তি আসলে মুসলিম উম্মাহর চলতি সেন্টিমেন্টের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু নেতৃবৃন্দ সেই সেন্টিমেন্টের পরোয়া করেননি।সাধারণ জনগণের সেন্টিমেন্ট প্রকাশের সকল পথ একে একে রূদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। নেতা, সরকার, আন্তর্জাতিক অংগন কোথাও যেনো মুসলিম বান্ধব ক্ষেত্রগুলো আর কৃয়াশীল নাই। জংগী অথবা টেরোরিস্ট তকমা লেগে যাওয়ার ভয়তো আছেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Nurul Amin ১৬ জুলাই, ২০১৯, ১:১০ পিএম says : 1
    মূল উপস্থাপনায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনা হলেও হজ্জের প্রসংগ কমেন্টে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অথচ দুনিয়া জুড়ে মুসলিম নির্যাতন এবং সে বিষয়ে মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও সরকারের উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা না থাকার প্রসংগটি তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অংগনেও মুসলিম নেতৃবৃন্দের ভূমিকা কোনো কোনো ক্ষেত্রে রহস্যজনক মনে হয়।উইঘুর মুসলিম প্রসংগে পশ্চিমা দুনিয়ার আগ্রহ যতটা দেখা যায়, কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ঠিক ততোটা নয়।ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে আর উইঘুরদের বিষয়ে সৌদি এবং আমেরিকান ভূমিকার পার্থক্য লক্ষ্য করার মতো।বরাবর যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি ও আমেরিকার সাথে মতৈক্য থাকে অথচ উইঘুর বিষয়ে সৌদি আরব, পাকিস্তান ও মিশরসহ ৩৫টি দেশ মার্কিন নীতির বিপরীতে চীনা নীতির সমর্থনে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিলেন। যে বিব়তি আসলে মুসলিম উম্মাহর চলতি সেন্টিমেন্টের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু নেতৃবৃন্দ সেই সেন্টিমেন্টের পরোয়া করেননি।সাধারণ জনগণের সেন্টিমেন্ট প্রকাশের সকল পথ একে একে রূদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। নেতা, সরকার, আন্তর্জাতিক অংগন কোথাও যেনো মুসলিম বান্ধব ক্ষেত্রগুলো আর কৃয়াশীল নাই। জংগী অথবা টেরোরিস্ট তকমা লেগে যাওয়ার ভয়তো আছেই।
    Total Reply(0) Reply
  • মোস্তাফিজুর রহমান ২০ জুলাই, ২০১৯, ৪:৪২ পিএম says : 1
    আল্লাহ হজ্জ কাদের জন্য ফরজ করেছেন তা বর্নিত আলেম সাহেবগন ভালভাবেই জানেন। সরকারি খরছে হজ্জে যাওয়া মানে জনগনের টাকায় হজ্জ করা। প্রশ্ন হলো হাজিদের গাইড দেয়ার কথা বলে জাদেরকে নেয়া হলো তারা সকলেই কি এ-ই কাজ করতে পারবে? বড়ই দুর্ভাগ্য এইজাতির। একজন আলেমও পাওয়া গেলো না যে এ-ই অপারকে প্রত্যাক্ষান করে ইমানের আলোয় নিজেকে আলোকিত করে। এ-ই দেশ,এ-ই মুসলিম জনপদের সামনে ঘোর অমানিশা ধেয়ে আসছে। রাসুল স এ-র অয়ারিশ আলেম সমাজ এ-র দায়িত্ব ছিল সকলকে এক মঞ্চে ডেকে অন্যায় অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে মাঠে না। আল্লাহর গজব খুবই স্ননিকটে। আল্লাহ সবাইকে সহি বুজ দান করুন।
    Total Reply(1) Reply
    • mohammad Sirajullah ২০ জুলাই, ২০১৯, ১১:২৪ পিএম says : 4
      Huj as far as I know is farz for adult, healthy, financially solvent Muslim men and women and again only once in life time. It is not Farz for any Government. Government can not have a religion. A country can not have a religion. Ershads declaration of RASHTRO DHORMO ISLAM can be under any circumstances be Islamic. These are hypocritic attempts to diver innocent people from the real problems. If you dod not believe in Islam, there is no problem. But do not be hypocrite to destroy Islam. At least follow the saying "Let your religion be for you and my religion for me". Bangladesh is slowly becoming DUSTBIN of Islam. Today Huj is a fashion, part of politics. How can a Government spend public money to send some to to Haj ?Allah is the only one who is and will be responsible to protect Islan, not even the Prophet. How can a man from Bangladesh declare that he will protect Islam from HatHajari , who also says education is forbidden for Muslima !
  • শরিফ মালিক ২১ জুলাই, ২০১৯, ৯:৫০ পিএম says : 0
    লেখাটিতে মধ্যমপন্থা ফুটে উঠেছে। শুকরিয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • মাইনউদ্দিন মো; মূসা ২২ জুলাই, ২০১৯, ১২:৩১ এএম says : 0
    মুসলিম জনগনের এমন দুর্দশার ( সংখ্য গরিষ্ঠ নাগরিক হয়ে ও, সংখ্যা লঘুর মত জীবন যাপন) মুহুর্তে,ইসলামী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে,শাহজালালের ভুমিকা না নিয়ে,দেশের গুটিকয়েক ওলামা মাশায়েখ ছাড়া বেশির ভাগ ওলামা মাশায়েখেরা এয় নাফসি এয়া নফসির পন্থা অবলম্বন করছে আর কিছু কিছু ওলামা মাশায়েখ সুবিধার হালুয়া রুটির ভাগ নিয়ে মত্ব আছেন। রাজনীতিবিদেরা তো সুবিধাবাদী হয় এটা সকলেরই জানা, কিন্ত ওলামা মাশায়েখেরা ও যে ধর্মকে পাশে ঠেলে সুবিধাবাদি হতে পারে সেটা এবার দেখলাম।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ