পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ বন্ধে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জাতীয় সংলাপের ডাক দিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে গুম-খুন-হত্যা-ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে, পচন ধরেছে। এই মহামারি থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তার আগ পর্যন্ত এখনই যেটা করা যেতে পারে, দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রেসিডেন্টকে (মো: আবদুল হামিদ) বলতে পারি, তিনি জাতীয় একটি সংলাপ আহ্বান করে শিগগিরই একটা উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘গুম-হত্যা-ধর্ষণের মহামারির কবলে বাংলাদেশ আতঙ্কিত নাগরিক জীবন ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রেসিডেন্ট যদিও আওয়ামী লীগের কিন্তু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি দল নিরপেক্ষ। তিনি জাতীয় একটি সংলাপ আহ্বান করে যত দ্রুত সম্ভব গুম, খুন, হত্যা ও ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন। এটি থেকে একেবারে রক্ষা পেতে হলে সবচেয়ে আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন, গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণের মহামারি থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। কারণ এ সরকার অস্বাভাবিক সরকার। তারা অস্বাভাবিকভাবে দেশ পরিচালনা করছে। অস্বাভাবিক কিছু বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। অতএব, এ অস্বাভাবিক সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।
দেশ এখন উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, উন্নয়নের নজির তো আমরা দেখছি। ফ্লাইওভার ঠিকই হয়েছে, কিন্তু ফ্লাইওভারের নিচে গত কদিনে দেখা গেল উন্নয়নের জোয়ার, পানির জোয়ার। উন্নয়নের জোয়ারে গত কদিন ঢাকা-চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতার কারণে মানুষের যে পরিমাণ ক্ষতি এবং দুর্ভোগ হয়েছে, তাহলে এত টাকা খরচ করে কার জন্য উন্নয়ন করলেন? এই জনগণের জন্য?
উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে দুর্নীতির ইঙ্গিত করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমরা বুঝি কাদের জন্য এই উন্নয়ন করেছেন। মানুষকে অবহেলা করে দেশ চালাই না’ সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখতে চাই, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতে হয়ে গেছে, যা ৩০ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল এটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারবেন? অথচ সংবিধান আমাদের ভোট দেয়ার অধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে কয়েক দিন আগে একটি মন্তব্য এসেছে, কিছু কিছু ডিসি-ওসি নিজেদের রাজা বাদশা মনে করে, এরা কারা? এরা সরকারের মদদপুষ্ট সুবিধাভোগী। তারা নিজেরা নিজেদের রাজা বাদশা মনে করছে। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে মন্তব্য করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতা সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র সদস্য বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে কে বা কারা ফেসবুকে কী একটা লিখেছে- এখানে মাথার দরকার হবে ইত্যাদি। সেটার ব্যাপারে আমরা শুনছি যে, গ্রেফতারও হয়েছে কয়েকজন। কিন্তু সরকার বলে দিল, এর পেছনে বিএনপি আছে। এই যে একটা অপপ্রচার সব কিছুতে। অপপ্রচার করে মিথ্যা বা অসত্য দাবি করে, উন্নয়নের মহীসোপানে বাংলাদেশ, এসব বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাচ্ছে না। জনগণ এই সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, জনগণের পকেট থেকে টাকা দিতে হচ্ছে।
ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও মোবাইল ফোন ব্যবহারে খরচ বাড়ানোর দিকে ইঙ্গিত করে ড. মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গণভবনে দলের একসভায় বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশ চালায়, জনগণকে অবহেলা করে না। আমি বলতে চাই, মোবাইল ফোনে যে পরিমাণ ভ্যাট বসিয়েছেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছেন- এটা কী জনগণের পক্ষে না বিপক্ষে। জনগণকে আপনারা অবহেলা করেন বলেই নির্দয়ভাবে এসব কর্মকান্ডগুলো করতে পারছেন।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, শাহ নেছারুল হক, ফরিদউদ্দিন, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।