Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রী হলেন ইমরান আহমদ প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মন্ত্রিসভার আকার বাড়লো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রী হিসেবে ইমরান আহমদ ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শপথ নিয়েছেন। সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (২) দফা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট এই নিয়োগ দেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ তাদের শপথ পড়ান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

এর আগে গত শুক্রবার ইমরান আহমদকে মন্ত্রী ও ফজিলাতুন নেসাকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শপথ নেয়ার দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। ইমরান আহমদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নতুন একজন যুক্ত হওয়ায় এবং পুরোনো একজনের পদোন্নতির পর মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ালো মন্ত্রী ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী ৩জন।

বঙ্গভবনে গতকালের এক মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর শপথের মধ্যদিয়ে আশাভঙ্গ হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক নেতার। বেশ কিছুদিন থেকে মন্ত্রিসভায় সম্প্রদারণ নিয়ে গুজব ছিল। কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি এবার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন বলে প্রচারণা ছিল। অনেকেই মন্ত্রী হচ্ছেন এমন বার্তা দিয়ে নিজ কর্মীদের চাঙ্গা রাখেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম একজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন ইংগিত দেন। তারপরও অনেকেই আশায় বুক বাঁধেন যে শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে শপথের দিন আরো কয়েকজনকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার গঠনের ৬ মাসের মাথায় স¤প্রসারিত হলো মন্ত্রিসভা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রধামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে রাখা হয় ৬টি মন্ত্রণালয়।

অতপর গত ১৯ মে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস করা হয়। তখন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। তাকে আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও স্বপন ভট্টচার্যকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। একই মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান স্বপন ভট্টাচার্য।

নিয়ম অনুযায়ী শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইমরান আহমদকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পেতে পারেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।


গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিন জন উপ-মন্ত্রী রয়েছেন।

তিন মাসের মাথায় মন্ত্রিসভায় সামান্য রদবদল আনা হয়। সে সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ